ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

প্রতিবাদী সেই শিক্ষার্থীকে সপরিবারে গায়েব করার হুমকি দেওয়া হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫১, আগস্ট ৩, ২০২৫
প্রতিবাদী সেই শিক্ষার্থীকে সপরিবারে গায়েব করার হুমকি দেওয়া হয় তর্জনী উঁচু করে প্রতিবাদী স্লোগান দিচ্ছিলেন শায়লা আকতার শশী

‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারো বাপের না’— ঝুম বৃষ্টিতে এই স্লোগানে উত্তাল হয়েছিল রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রাঙ্গণ। ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজউক কলেজের শিক্ষার্থীরা রিকশায় চড়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল।

সেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ শায়লা আকতার শশী। এ ঘটনার পর তাকে সপরিবারে গায়েব করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ছাত্রলীগ।

শায়লা তখন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। গতবছর যেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়েই পরিবারের প্রতি আসা হুমকির কথা জানান তিনি।  

শশী বলেন, সেদিন লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারো বাপের না স্লোগানটি পুরো কলেজ প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা রিকশায় উঠে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।

তিনি ২ আগস্টের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন, কারণ স্বপ্ন নামে তাদের কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদেই সেদিন আরেক সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে রিকশায় চড়ে বৃষ্টিতে ভিজে শশী আন্দোলন করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সেই প্রতিবাদই একটা বড় ভূমিকা রেখেছিল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর ক্ষেত্রে।

তিনি আরও জানান, যখন থেকে তার প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হতে শুরু করে মেসেঞ্জারে অজ্ঞাত অ্যাকাউন্ট থেকে ছাত্রলীগের লোকজন তাকে হুমকি দেয়। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কিছু সদস্য আমাকে হুমকি দিচ্ছিল, বট অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হচ্ছিল আমাকে ধর্ষণ করা হবে, পেলে পরিবারসহ গায়েব করে দেবে। কিন্তু আমার পরিবারই সাহস দিচ্ছিল যে ভয় পেতে নেই। আমি যা করেছি, সেটা একদম সঠিক।

৫ আগস্ট পরবর্তী দিনগুলোয় বাকিস্বাধীনতার পরিবর্তন দেখেছেন শশী। তিনি বলেন, আগের মতো ওই ভয়ভীতিটা নেই। আমরা যতক্ষণ না নিজে ভালো হবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশ ভালো হবে না। আমাদের কালচারালি বা মর‌্যালি, এথিক্যালি নিজেদের থেকে সংস্কার করতে হবে। আমরা নিজেরা ভালো তো দেশ ভালো।

এনডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।