ঢাকা, বুধবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ে জাগপার মিছিলে পুলিশের বাধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৫, আগস্ট ৬, ২০২৫
ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ে জাগপার মিছিলে পুলিশের বাধা

পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানো এবং আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করার চেষ্টা করেছিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। কিন্তু জাগপার এ কর্মসূচি পুলিশের বাধায় আটকে যায়।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে জাগপার কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের দিকে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু মিছিলটি মধ্য বাড্ডার লিংক রোডে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকে দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে এবং পুলিশ কোনো কর্মীকে সামনে এগোতে দেয়নি।

এর আগে সকাল ১১টায় মেরুল বাড্ডায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মিছিলটিতে যোগ দেন জাগপার সহ-সভাপতি এবং দলের মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।  তিনি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পুলিশের বাধায় আটকে যাওয়ার পর সেখানেই একটি ট্রাকে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে তিনি কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বক্তব্যে রাশেদ প্রধান বলেন, যে মানুষটার জন্য গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় এতগুলো মানুষ জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন। সেই মানুষটার বিচার ও ফাঁসি দেখার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে। আর সেই মানুষটাকে ভারত গত এক বছর যাবত রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আদর যত্ন করছে।

তিনি বলেন, আজকের ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি মাধ্যমে দিল্লির শাসনকে জানিয়ে দিতে চাই খুনি হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। বাংলার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। অবৈধ পুশ ইন বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের যে-সব ভূখণ্ড দখল নিয়েছেন তা ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে।  

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে ভারতীয় আধিপত্য কোনোভাবেই চলতে দেওয়া হবে না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশের প্রতিটি বাহিনীতে ভারতের 'র' এজেন্টদের প্রবেশ করানো হয়েছিল। তবে এখনো প্রশাসনে অনেক জায়গায় ভারতীয় কর্মকর্তারা রয়েছে। দিল্লির শাসনকে জানিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে আপনাদের সব কর্মকর্তা এবং রয়ের এজেন্টদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ভারত নিয়ে যান।  

রাশেদ প্রধান বলেন, তা নাহলে বাংলাদেশে আবারও জুলাই অভ্যুত্থান হবে। শেখ হাসিনা তো ভারত পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে কিন্তু তখন এজেন্টরা ভারত পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।  

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সম্মানার্থে আজকে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি এখানেই সমাপ্ত করছি। আজকে ভারতীয় দুতাবাসকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দাবি মানা নাহলে সামনে ভারতীয় দূতাবাসকে রেডকার্ড দেখানো হবে। পরেরবার কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কথায় থামবো না। পরেরবার দূতাবাস দখল হবে এবং লালকার্ড দেখানো হবে।

ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।