ঢাকা, শনিবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

সমগীতের আলোচনা: ‘বিভাজনের সংস্কৃতি বনাম প্রতিরোধের ঐক্য’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৮, আগস্ট ৯, ২০২৫
সমগীতের আলোচনা: ‘বিভাজনের সংস্কৃতি বনাম প্রতিরোধের ঐক্য’

সাংস্কৃতিক সংগঠন সমগীতের আয়োজনে ‘বিভাজনের সংস্কৃতি বনাম প্রতিরোধের ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর দৃক পাঠ ভবনে এই সভা আয়োজিত হয়।

এতে আলোচনা করেন—বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপ-উপাচার্য সাঈদ ফেরদৌস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার, লেখক ও শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাভিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গনের সংগঠক শিল্পী অমল আকাশ।

বক্তারা বলেন, গত বছরের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান মানুষের সাহস ও আত্মত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থাকে বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছে। জনগণের প্রায় সকল মত ও পথের সম্মিলনই ছিল জুলাইয়ের শক্তি। কিন্তু সেটা ছিল বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকাল, যেখানে সকলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বিষয়ে একমত হয়েছিল। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের নানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে বিভাজন দেখা দিয়েছে, সেখানে সবার অনেক বেশি সহনশীলতা দিয়ে অন্যের মতামত শুনতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে সকলে কথা বলছেন, এটা অভ্যুত্থানের একটি বিশেষ অর্জন। যদিও অনেকেই অন্যের মতকে দমন করতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের যেটুকু করণীয় ছিল, সেখানে তারা সফল হতে পারেনি। ঐক্যের জায়গায় আমরা যদিও এখনো পিছিয়ে আছি, তবুও ঐক্যের শক্তি হওয়ার চেষ্টা আমাদের চলমান রাখতে হবে।

আলোচনা শেষে উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতাদের মাঝে উন্মুক্ত মতবিনিময় হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আরও তৃণমূলভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানান।

এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।