ঢাকা, সোমবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১০, আগস্ট ১৮, ২০২৫
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বক্তব্য দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে ২৭ হাজার ৬৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

 

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা সব সময় বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কোনো নিয়োগ হয়নি। এজন্য আজকে আমি আপনাদের জানাচ্ছি নির্বাচনের আগেই পুলিশ বাহিনীতে ১৫ হাজার ৮৫১ জনকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) ৪ হাজার ৪৬৯ জন ও আনসার ৫ হাজার ৫৫১ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

এ ছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত না তারপরও কারায় ১ হাজার ৫৫৮ জনকে ও ফায়ার সার্ভিসে ২০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাবে যারা ছিল তাদের আমরা নতুন র‌্যাবে নিয়ে আসছি এবং কোস্টগার্ডেও নেভি থেকে নেওয়া হয়েছে। এগুলো সব নতুন নিয়োগ। বর্তমান সরকার আসার পর এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

কোন কোন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের কনস্টেবল, এসআই, এসপি এই তিনটি পদে নিয়োগ হয়। এরমধ্যে কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসপির সংখ্যাটা আমরা বলিনি। এসপি নেই বা ক্যাডারের কেউ নেই এই নতুন নিয়োগের সংখ্যায়। বিজিবির ক্ষেত্রে কনস্টেবল ও আনসারের ক্ষেত্রেও কনস্টেবল।  

যে নিয়োগগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো কী নতুন পদসৃর্জন করা হয়েছে, নাকি শূন্য পদে দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগই নতুন পদসৃর্জন করা হয়েছে। আর কিছু নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শূন্য পদে।  

মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছে এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে আদালতকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে আদালত তাকে ছেড়ে দিল। আদালত কারো কথা শোনে না। তারা তো স্বাধীন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সব সময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়ছে এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না। সুতরাং নির্দোষ এমন কেউ ছোটখাটো কিন্তু তাকে ধরা হলে সে সম্পর্কে আপনারা বলেন। আপনারা সবসময় সত্য ঘটনা বলে থাকেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন...
এখনো মব জাস্টিস চলছে, কমাতে চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।