ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

লিখিত আশ্বাস-রোডম্যাপ পেলে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন শেবাচিম শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১২, আগস্ট ২৫, ২০২৫
লিখিত আশ্বাস-রোডম্যাপ পেলে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন শেবাচিম শিক্ষার্থীরা

সারা দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে টানা ২৯ দিন ধরে চলমান আন্দোলনে নতুন মোড় এসেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি সরকার লিখিত আশ্বাস ও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয় তবে তারা অবিলম্বে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভে অংশ নেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারকে আমরা স্মারকলিপি দিয়ে, আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিলেও দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো লিখিত দেওয়া কিংবা রোডম্যাপের বিষয়ে কিছু বলছেন না। দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়ে শুরু থেকেই আমরা লিখিত অ্যাভিডেন্স চাচ্ছি কিন্তু কেউ তা দিচ্ছে না। লিখিত রোডম্যাপও দিচ্ছে না, এগুলো পাওয়ার সাথে সাথে আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবো।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আন্দোলনের কারণে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ভাঙা হয়েছে, শেবাচিম হাসপাতালে প্রায় একশ মেশিন সচল হয়েছে, নতুন একশ সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে, ৪৬ জন সরকারি ট্রলিম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এমনকি হরিজন সম্প্রদায়ের লোকসহ নতুন কর্মীও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব ইতিবাচক পদক্ষেপ অবশ্যই আমাদের আন্দোলনেরই ফল। কিন্তু সমস্যার মূল অব্যবস্থাপনা এখনো রয়ে গেছে। স্থায়ী সমাধান ছাড়া এ অবস্থা আবারও ফিরে আসতে পারে। ”

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই শিক্ষার্থী, তাই আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে হবে, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বসতে হবে। আর স্থায়ী সমাধান না হলে তখন সিন্ডিকেট আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সিন্ডিকেট যে আবার বাসা বাঁধবে না, এই সমস্যা আবার হবে না, এটার গ্যারান্টি কে দেবে? এজন্য আমাদের দাবি যে মেনে নেওয়া হয়েছে সে লক্ষ্যে একটা লিখিত আশ্বাস দেওয়া হোক। আর ওই লিখিত অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্যাডে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাক্ষরসহ হতে হবে। সেইসাথে একটা রোডম্যাপ দেওয়া হোক যে কতদিনের মধ্যে তারা কতটা সমস্যা সমাধান করা হবে। যার মধ্য দিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যেতে চাই, পড়ালেখার টেবিলে বসতে চাই।

রনি জানান, তারা টেকসই সমাধানের জন্য সুধীজনদের মতামত নেবেন। একইসাথে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান—আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে যেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ