ঢাকা: দেশে কোনো বৈধ সিসা বার নেই বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক গোলাম আজম।
তিনি বলেন, দেশের কোথাও বৈধ কোনো সিসা বার নেই।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ডিএনসি সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদকের চালান উদ্ধার হলেও মূলহোতারা গ্রেপ্তার না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, মাদকের মামলাগুলো হয় যার কাছে পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে আইনের আওতায় তাদের আনা সহজ হয় না। তবে যারা গডফাদার তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ২৭টি মামলা তদন্ত হয়েছে।
বনানীতে সিসা বারে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় বৈধ সিসা বারের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিএনসির হিসেবে বনানীতে ২১টি সিসা বার আছে। ধানমন্ডিতে একটি ছিল কিন্তু সেটি অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিসায় যদি ০.২% নিকোটিন থাকে তাহলে এটি ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে ধরা হয়। এর ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী উচ্চ আদালতে একটি রিট করে আমাদের কাজ থামিয়ে দিয়েছিল। এটা নিয়ে তারা আদালতে ভুল তথ্য দিয়েছিল। এখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কোনো সিসা বারেরই অনুমোদন নেই। সবই অবৈধ।
বনানীর থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি নামের যে প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বৈধ কোনো সিসা বার ছিল না। মূলত এটি একটি রেস্তোরাঁ। কিন্তু তারা অবৈধভাবে বার চালাচ্ছিলো। এ প্রতিষ্ঠানের পূর্ব নাম ছিল এরাবিয়ান কোজি। এ নামে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা করেছে ডিএনসি। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে একই কাজ চালিয়ে আসছিল। এখন পর্যন্ত ১২টি মামলা করা হয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই এগুলো চালু করছে।
এসসি/আরআইএস