৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত পুনঃফলাফল প্রকাশ, গেজেট প্রকাশ এবং চূড়ান্ত নিয়োগ নিশ্চিতকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৪তম বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মুজাহিদ ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে ৪৪তম বিসিএসের পুনঃফলাফল প্রকাশ এবং ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গেজেট ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১৭১০ পদে নিয়োগের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ প্রার্থী। তিন ধাপের পরীক্ষার পর বিপিএসসি ২০২৫ সালের ৩০ জুন ১৬৯০ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে সুপারিশ করে। তবে এর মধ্যে ৩৭২ জন রিপিট ক্যাডার হওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিপিএসসি সিদ্ধান্ত নেয় রিপিট ক্যাডারদের স্থলে মেধাক্রম অনুযায়ী নতুন প্রার্থী সুপারিশ করা হবে। কিন্তু দুই মাসেরও বেশি সময় পার হলেও বিধি সংশোধনজনিত জটিলতায় ফলাফল পুনঃপ্রকাশ হয়নি।
সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, সাধারণত ফলাফল প্রকাশের পরপরই ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এবার তা হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ নিয়োগ-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
তারা জানান, নির্বাচনের আগে গেজেট প্রকাশ না হলে এই বিসিএস ইতিহাসের দীর্ঘতম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিণত হতে পারে, যা শেষ হতে ৫-৬ বছরও লেগে যেতে পারে। এতে অনেকে বয়সসীমা অতিক্রম করছেন এবং মানসিক চাপে ভুগছেন।
দাবিগুলো হচ্ছে:
১. বিপিএসসি কর্তৃক দ্রুত পুনঃফলাফল প্রকাশ অথবা বিদ্যমান ফলাফল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ;
২. পুনঃফলাফল প্রকাশ করা হলে সুপারিশপ্রাপ্তদের ফাইল ২-৩ কার্যদিবসের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো;
৩. চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ ও চূড়ান্ত নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং পরবর্তী বিসিএসে সুপারিশ প্রদান সেই অনুযায়ী করতে হবে।
সুপারিশপ্রাপ্তরা বলেন, আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকারের দিকনির্দেশনায় বিপিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এতে শুধু আমাদের হতাশা দূর হবে না, বরং প্রশাসনও নতুন প্রাণ পাবে।
এ সময় ফেরদৌস আলম, বোরহান উদ্দিন, মারিয়া জান্নাত, মো. রাসেল মিয়া, শাহীন আহমেদসহ সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএইচবি/এমজে