গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নেভাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য (ফায়ার ফাইটার) শামীম আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। মৃত শামীম আহমেদের বাড়ি নেত্রকোনায়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীতে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ ফায়ার সদস্য শামীম আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। মৃত শামীমের শরীর ১শ শতাংশই দগ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, বাদ মাগরিব ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদরদপ্তরে মৃত শামীমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এই কেমিক্যালের গোডাউনে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিস থেকে সাতটি ইউনিট আগুন নির্বাপনের কাজ করে। এ সময় তারা আহত হয়। আহতরা হলেন, ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ, নুরুল হুদা, জয় হাসান ও অফিসার জান্নাতুল নাঈম (অফিসার)। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শাহিন আলম জানান, আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ চারজন আহত হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফজলে রাব্বি জানিয়েছিলেন, টঙ্গীর অগ্নিকাণ্ডের দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের চারজনের মধ্যে জয় হাসান নামে একজনের শরীরের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নুরুল হুদা ও শামীম আহমেদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগ অংশ পুড়ে গেছে। আর ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে। এই তিনজনের অবস্থা ক্রিটিকাল।
এজেডএস/এএটি