বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার কারণে তিলে তিলে রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যু হয়েছে। কারণ তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, রুহুল আমিন গাজী সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকদের প্রতীক। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে রুহুল আমিন গাজী ভাইয়ের চেয়ে আর কেউ ভালো জানতেন না।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, আমৃত্যু সাংবাদিকদের রুজি রুটির অধিকারের কাজ করেছেন রুহুল আমিন। গাজী ভাইয়ের সাহস ও আদর্শ নিয়ে আমরা যেন আগামীদিনে চলতে পারি সেটাই হবে তার প্রতি আমাদের সম্মান।
আব্দুল হাই শিকদার বলেন, আশীর্বাদ বিরোধী আন্দোলনে সজীবী অঙ্গনে সৈনিক অকুতোভয় বীর সৈনিক ছিলেন রুহুল আমিন গাজী। ইউনিয়নের কাছ থেকে যে ধরনের নেতৃত্ব আমরা আশা করি তা আমরা এখন পাচ্ছি না। রুহুল আমিন গাজী থাকলে হয়তোবা এমন হতো না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাকের হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, বিএফইউজের সহসভাপতি একেএম মহসিন, মো. খাইরুল বাশার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা মেইলের নিবার্হী সম্পাদক হারুন জামিল, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুব হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি রফিক মোহাম্মদ, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক আবু বকর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহানাজ পলি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য মোদাব্বের হোসেন।
টিএ/জেএইচ