ঢাকা, রবিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

‘উচ্চ মাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৪, অক্টোবর ১১, ২০২৫
‘উচ্চ মাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে’ ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেছেন, সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইসঙ্গে ইসলামি শিক্ষায় মৌখিক পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

 

শনিবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম কর্তৃক ‘সংকট আবর্তে ইসলাম শিক্ষা: উত্তরণ কর্মকৌশল’ শীর্ষক আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এ কে এম ওয়ারেসুল করিম বুলবুল, প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, প্রফেসর মিয়া মুহাম্মদ নুরুল হক, ড. মো. রইছ উদ্দিন, ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ড. শাহ মুহাম্মদ আবদুর রাহীম, ড. আবদুল মান্নান, প্রফেসর আতিকুর রহমান, মারুফুর রহমান শেখ, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের মিয়া, ড. মো. সাইদুল হক, এ এস এম জাফর সাদিক, শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর মাহবুব, মুফতী মহিবুল্লাহ, ড. হেদায়েত উল্লাহ ও মো. মনিরুল হাসান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকের ধর্ম ইসলাম। অন্যান্য ধর্মের নাগরিকরাও ধর্মপ্রাণ। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক ও নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি ও ব্যবস্থায় শিক্ষার কোনো স্তরেই ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ গুরুত্ব ও আবশ্যিকভাবে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা নেই। নাগরিকরা ধর্মশিক্ষা নানা সোর্স থেকে শেখে। ফলে অশিক্ষা-কুশিক্ষা-কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে ধর্মান্ধতা ও উগ্রতার উন্মেষ ঘটে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ধর্ম ও নৈতিকতায় অজ্ঞ থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অনৈতিকতা ও অবক্ষয়ের ছয়লাব ঘটায়। এই নৈতিক অবক্ষয় রোধ এবং ধর্মীয় নৈতিক সমাজ ও রাষ্ট্র পরিগঠন ও নৈতিকতায় উজ্জীবিত করতে ও রাখতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা আবশ্যিকভাবেই কারিকুলাম ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

তারা আরও বলেন, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি নীতিমালায় ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি এবারও ঐচ্ছিক (চতুর্থ) বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন, যা বিগত পতিত সেক্যুলার ফেসিস্টদেরই পুনরাবৃত্তি এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি। ইসলাম প্রিয় দেশবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও বিভাগে ‘ইসলাম শিক্ষা’ বিষয়টি আবশ্যিক হিসেবে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করার দাবি জানান অথবা ২০১২ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম শিক্ষা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

ডিএইচবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।