ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আজ আমার ইমোশোনাল ডে

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
আজ আমার ইমোশোনাল ডে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ

ঢাকা: একটি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন ‘আজ আমার ইমোশোনাল ডে’।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে অভিভূত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ণ।

তাদের ব্যবহারে আমি আসলেই অভিভূত-চমৎকৃত।

বাংলাদেশ থেকে মধুর স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে তাকে দেওয়া উষ্ণ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশের পর তিনি রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণের জন্য দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সব কাজে আমরা পরস্পরের ঘনিষ্ট সহযাত্রী। আমরা দু’দেশের মানুষ খাদ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতিসহ অভিন্নভাবে বসবাস করি। আমাদের চিন্তা-চেতনা সব কিছুই এক।

এসময় পঙ্কজ শরণ জানান, স্বামী বিবেকানন্দ সারা বিলিয়ে বিশ্বে মানবতার যে বাণী দিয়ে গিয়েছেন তার সেই বাণী অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে কাজ করে যাচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের স্বামীরা।

তিনি বলেন, সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ও জাতিভেদ দূর করতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে গেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কীভাবে লোভ-লালসাহীন, সুন্দর ও সৎভাবে জীবনযাপন করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি বিচারপতি (অব.) গৌড় গোপাল সাহা। এসময় বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, স্বামী ধ্রুবেশানন্দ, স্বামী স্বরূপানন্দ, শ্রীমৎ স্বামী আমিয়ানন্দজী মহারাজ, স্বামী গুরুসেবানন্দজী মহারাজ, স্বামী মৃদুল মহারাজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন) রাজেশ উইকি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক) জয়শ্রী কুণ্ডু, অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ভারত আমাদের মহান বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে গিয়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ভারত আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে বিদায়ী হাই কমিশনার যথেষ্ট কাজ করেছেন। যা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।

পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। আমাদের ইতিবাচক সব কাজে আমরা সব সময় ভারতকে কাছে পেয়েছি।

এ সময় পঙ্কজ শরণকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অগ্রযাত্রায় তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তাই তাকে ভোলা যাবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে বিচারপতি গৌরগোপাল সাহা, ভারতীয় এই হাইকমিশনারের কর্মজীবন আরও সাফল্য-বর্ণাঢ্যময় হোক কামনা করে বলেন, মিশনের কাজে তিনি যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ও ভক্তিমূলক সংগীত পরিবেশন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ছাত্র নিতাই তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫, আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা
এসএস/আরএইচএস/এএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।