ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী

ঢাকা: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে আঃন্তযোগাযোগের মাধ্যমে সামাজিক অর্থনীতির ক্ষেত্র বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে এই অঞ্চলের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে ব্যবসা ও অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টি করতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।



শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল : পারস্পরিক স্বার্থ ও সুযোগ অনুসন্ধান’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সেমিনারের প্রথম দিনে টাইটেল পেপার উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. শরিফ উদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে বিষয় ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসফাক হোসেন, ড. আমেনা হোসেন এবং গবেষণাপত্র তুলে ধরেন ভারতের ঋষি বঙ্কিম কলেজের সহকারী অধাপক ড. অনিন্দিতা ঘোষাল।

সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে পারস্পরিক স্বার্থ, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে। যদিও পারস্পরিক সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই ছিল।  

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য মাহমুদ আলী ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা যদি ভারতের কথা বলি তাহলে পশ্চিমবঙ্গ এবং  উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এই ত্যাগের সম্পর্ক। অতএব, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গসহ আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় রাজ্যগুলো নিজেদের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমাদের এক কোটি মানষকে আশ্রয় দিয়েছে। এই ইতিহাস থেকেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।   

তিনি বলেন, আমরা সস্তায় ভাল মানের পণ্য রপ্তানি করে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। আমরা বিশ্বমানের ইলেকট্রিক পণ্য, মোটর সাইকেল পণ্য উৎপাদন করছি এই অঞ্চলে ব্যবসার জন্য।

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন,  এই অঞ্চলের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব বিবেচনা করেই আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। এটিকে কাজে লাগোনোর জন্য ভৌগলিক কারণেই আমরাই সব চেয়ে ভাল অবস্থানে আছি ।

তাদের প্রকৃতিক সম্পদ এবং ‘র’ মেটেরিয়ালস বাংলাদেশ আমদানির পর তা প্রক্রিয়াজাত করে ভারতেই আবার রফতানি করতে পারবো। এটি হচ্ছে, তবে আরো বাপকভাবে তা করা উচিত। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে বিনিয়োগের চিন্তা করতে পারেন। এটা দুই দেশের জন্যই লাভজনক।

বাংলাদেশ সময় : ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
এসএমএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।