ঢাকা: বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদ পর্যায়ে নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে বলে মত দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের রানি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি।
বাংলাদেশ সফরের তৃতীয় ও শেষ দিন বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে ডাচ রানির।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের গ্রামীণ নারীদের তথ্য প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বাংলানিউজকে এ বিষয়টি জানান।
ডাচ রানি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে নারীরা বেশ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ফলে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানে গ্রামীণ নারীদের আরও ব্যাপক আকারে সম্পৃক্ত করে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী ডাচ রানিকে অবহিত করে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ইতোমধ্যে ইলার্নিং অ্যান্ড আর্নিং, বাড়ি বসে বড়লোক ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া যে সব এলাকায় প্রযুক্তি সুবিধা অপ্রতুল বিশেষ করে দ্বীপ, হাওড়, চর এলাকা, পাহাড়ি ও পানিবন্দি এলাকায় নেদারল্যান্ডের ফ্লোটিং সিটি অ্যাপস এবং আইসিটি ডিভিশন, রবি ও হুয়াওয়ে কর্তৃক চালু হতে যাওয়া ডিজিটাল বাসের সহায়তায় প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠী প্রধানত নারীদের অর্থনৈতিক অর্ন্তভুক্তি জোরদার করতে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নেদারল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে, প্রযুক্তির বিস্তার লাভ ও অর্থনৈতিক মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ডাচ রানি গ্রামীণ এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অর্ন্তভুক্তিমূলক কার্যক্রম আরও জোরদার এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহার-বান্ধব ও কম খরচের মোবাইল ফোন উৎপাদন করতে প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানান।
এর উত্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রানিকে জানান, ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুসনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পরনির্ভরতা কমাতে ও তাদের আর্থিক লেনদেন সুরক্ষিত রাখতে সরকার কাজ করছে। দ্রুতই এজন্য একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলামসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
একে/আইএ