যশোর: যশোরের একটি মেসে গোপন বৈঠককালে হাবিবুল্লাহ (২২) নামে শিবিরের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিটুনিতে আহত হয়েছে আরো দুই কর্মী।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একদল ছাত্র তাদের পিটিয়ে আহত করে। পরে, সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুল্লাহর মৃত্যু হয়।
নিহত হাবিবুল্লাহ যশোরের শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কামরুল হাসান (২২) ও মাগুরার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমানের ছেলে আল-মামুন (২২)।
হতাহতরা সবাই যশোর সরকারি এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিকেলে এমএম কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি মেসে শিবিরকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে-এমন সংবাদে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ডেকে আনেন। পরে স্থানীয় ছাত্রদের পিটুনিতে তিনজন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় আহত হাবিবুল্লাহর মৃত্যু হয়।
আহত মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের মেসে হামলা করে বেদম মারধর করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, এর সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শিবিরের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্ররা তাদের মারধর করেছে।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হাবিবুল্লাহ শিবিরের কর্মী। বিকেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা মেসে হামলা করে হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এমজেড