সিলেট: সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে নিহত শিশু সাঈদের পিতা আব্দুল মতিনসহ ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অন্য সাক্ষীরা হলেন, আশরাফুজ্জামান আযম, ফিরোজ আহমদ, ওলিউর রহমান ও শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানা রাজিয়া ডলি বাংলানিউজকে বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি এ মামলায় আসামিদের পক্ষে আদালতে লড়বেন না।
নিহত শিশু আবু সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাগ্নে সাঈদ হত্যায় তার বাবা-মা যাতে ন্যায় বিচার পান। সেজন্য আসামি পক্ষ থেকে আইনজীবী সুলতানা রাজিয়া ডলি সরে দাঁড়িয়েছেন।
গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) আলোচিত এ মামলার শুনানির ধার্য্য তারিখে চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশীদ।
এর আগে ১০ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পলাতক আসামি জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম।
সোমবার পলাতক এ আসামির বিরুদ্ধে মালামাল ক্রোক ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলক্রমে আদালতকে অবহিত করার জন্য দিন ধার্য্য ছিল। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মঙ্গলবার চার্জ গঠনের দিন ধার্য্য করেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম।
অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এনইউ/এমজেএফ/