সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় দশম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুই সাক্ষি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।
তবে সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ছাড়া কারান্তরীণ ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ না হওয়ায় তাদের পূণরায় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুই সাক্ষির সাক্ষ্য দেওয়া কথা। কিন্তু তারা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন আদালতের বিচারক।
এরআগে বুধবার দুপুরে সাক্ষ্য গ্রহণের নবম কার্যদিবসে সাক্ষি দিবেন হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় আহত স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও নজরুল ইসলাম।
এদিন কারান্তরীণ ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র জিকে গাউস, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১২ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
আলোচিত এ মামলায় সাক্ষির সংখ্যা ১৭১ জন। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান, ২১ অক্টোবর তিন জন ও ৫ নভেম্বর দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।
গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ২৫ জনের নামউল্লেখ করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিলেট জোনের এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল।
মামলায় আসামি হওয়ায় এ বছরের ৭ জানুয়ারি সিসিকের মেয়র পদ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এনইউ/এসএইচ