জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনও ১১ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৭টি এমআরপি দিতে হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, এ বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট এমআরপি’র বাইরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তরকালে সরকারদলীয় সদস্য মো. ইশরাফিল আলমের (নওগাঁ-৬) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংসদে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব বাংলাদেশি নাগরিককে এমআরপি দেওয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। যা এ বছরই শেষ হয়ে যাবে। প্রায় ৩৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে এমআরপি দেওয়ার জন্য একই সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ ও মালয়েশিয়ান আউটসোসিং কোম্পানি আইআরআইএস’র মাধ্যমে বিদেশেও এমআরপি কার্যক্রম শুরু হয়। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে এ পর্যন্ত (০৯ নভেম্বর) ২১ লাখ ১৫ হাজার ৯০১টি এমআরপি ইস্যু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আউটসোসিং কোম্পানি ইস্যু করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২২টি। এছাড়া মিশনসমূহে প্রায় ৫৪ হাজার ৫৪০টি পাসপোর্ট বহিরগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর কর্তৃক মুদ্রণের অপেক্ষায় রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) নির্দেশ মতে, চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের পর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহারের আর কোনো সুযোগ থাকছে না। ২৪ নভেম্বরের পর থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এসএম/আইএ