জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এনামুল হকের (রাজশাহী-৪) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭১ সাল এবং এর পূর্ববর্তী সব দেনা-পাওনার ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে দাবি উত্থাপন করেছে, করে আসছে। এরূপ বৈঠকের মধ্যে ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০১০ ও ২০১২ সালের বৈঠক অন্যতম। এ সব আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও দেশটির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নানা পর্যায়ে বৈঠকেও সম্পদের হিস্যাসহ তিনটি অমীমাংসিত বিষয় তুলে ধরা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের পর তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে আগত প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানে রক্ষিত ছিল। যা আত্মসাতের উদ্দেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে উক্ত ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়। এই টাকা সরাসরি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জোর দাবি জানিয়ে আসছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের আগে তৎকালীন অখণ্ড পাকিস্তানের প্রায় ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার বারবার দাবি জানিয়েছে।
বর্তমান সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে বলেও মত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এসএম/আইএ
** এখনও ১১ লাখ ৩২ হাজার পাসপোর্ট এমআরপি’র বাইরে