ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুড়িগঙ্গার তীরে ইট-বালুর ব্যবসা সরিয়ে রাস্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
বুড়িগঙ্গার তীরে ইট-বালুর ব্যবসা সরিয়ে রাস্তা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার তীর থেকে ইট, বালু ও পাথরের ব্যবসা তুলে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার, জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে নগর উন্নয়ন অধিদফতরে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ তথ্য জানান তিনি।



নগর উন্নয়ন অধিদফতরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন-২০১৫’ এর খসড়া বিষয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে অধিদফতর।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা খুব বেশি দূষণের শিকার। বুড়িগঙ্গার ও বালু নদীর তীরে গিয়ে দুই মিনিট দাঁড়ানো যায় না। রাজধানীর জলাধারগুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করা হচ্ছে, অথচ রাজউক কিছুই করতে পারছে না। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে তীর থেকে সব স্থাপনা সরাতে ও মালামাল ওঠানামা বন্ধ করতে হবে।

মোশারফ হোসেন বলেন, বুড়িগঙ্গায় অনবরত আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। একই কারণে তুরাগ নদীও সংকুচিত হয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গার তীর থেকে ট্যানারির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে এসটিটি-ইটিপি করা হয়েছে। ট্যানারি স্থানান্তর হয়ে গেলে বুড়িগঙ্গা তার আগের পরিবেশ ফিরে পাবে।

বুড়িগঙ্গার পাড়ে মানুষের হাঁটাচলা ও গাড়ি নিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, বলেন তিনি।

অকৃষিজ জমি কাজে লাগাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অকৃষিজ জমিতে শিল্পকারখানা স্থাপন করবে সরকার। ইতিমধ্যে অকৃষিজ জমির ২৫টি স্পটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সেমিনারে নগর বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু আইন করে লাভ হয় না, যদি তার প্রয়োগ না হয়। এজন্য প্রয়োগের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন করার পর নগর অধিদফতরের নাম পরিবর্ত করে নগর ও অঞ্চল অধিদফতর করার প্রস্তাব করেন তারা। এছাড়া নগর পরিকল্পনায় আমলাদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ও পরিকল্পনাবিদদের রাখার দাবি জানান।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক’র উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স’র সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) প্রেসিডেন্ট স্থপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান, রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালক আবু সাদেক, বুয়েট’র নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সারওয়ার জাহান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এসএ/ওএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।