ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আবারও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান মুজাহিদ-সাকা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
আবারও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান মুজাহিদ-সাকা

ঢাকা: আবারও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা দেশের দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও  সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কারা কর্মকর্তারা ত‍াদের রায় পড়ে শোনানোর পর ‍তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

রাত আটটা ৪৫ মিনিটে রায় দু’টির কপি পৌঁছে কারাফটকে। রায়ের কপি গ্রহণ করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে তা পাঠানো হয় ভেতরে। রাত সোয়া ৯টা থেকে কারা কর্মকর্তারা রায় দু’টি আলাদা আলাদাভাবে পড়ে শোনান কনডেম সেলে থাকা মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীকে।

সূত্রটি জানায়, রায় পড়ে শোনানোর পর দু’জনের কাছেই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কিনা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে উভয় দণ্ডপ্রাপ্তই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু তাদের জানানো হয়, এ পর্যায়ে কেউই আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। তখন দু’জনই নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চান।

এর আগে, দুপুরে সাকা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের ১৫ সদস্য। এরপর বিকেলে মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের ১২ সদস্য।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ এবং অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যাসহ চার হত্যা-গণহত্যার দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ফাঁসির দড়ি থেকে রেহাই পেতে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে তাদের সামনে রয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। রায় শোনানোর পর মুজাহিদ-সাকা চৌধুরী ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে কিছু স্পষ্ট না করায় বিষয়টি অনিষ্পন্ন রয়ে গেল।

ক্ষমা প্রার্থনার এ বিষয়টি নিষ্পত্তির পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।

গত ১ অক্টোবর মুজাহিদ-সাকার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই কারাগারে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ও ফাঁসির চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় তাদেরকে। আগেরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর ওই দু’জনের আপিল খারিজ করে ফাঁসি বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের প্রকাশ করা পূর্ণাঙ্গ চূড়ান্ত রায়ের ভিত্তিতে এ মৃত্যু পরোয়ানা  জারি করেন বিচারিক আদালত।

গত ১৪ অক্টোবর রিভিউ আবেদন করার পর থেকে মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিত ছিল। বুধবার রিভিউ খারিজ হওয়ায় ফের সচল হয়েছে এ পরোয়ানা। এখন মুজাহিদ ও সাকাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ারাধীন।

তবে, এবার কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের লিখিত আদেশ জানিয়ে মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করতে চায় বলে দুপুরে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, সংক্ষিপ্ত আদেশ বা পূর্ণাঙ্গ রায় কারাগারে গেলে আসামিরা তা জানার পর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবেন। এটা না করলে বা খারিজ হলে রায় কার্যকর করবে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫/আপডেট ২২১৮ ঘণ্টা
এসকেএস/এইচএ/

** আসামিকে নিজেই প্রাণভিক্ষা চাইতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।