ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাকার বাড়ি কিউসি রেসিডেন্সে নিস্তব্ধতা

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
সাকার বাড়ি কিউসি রেসিডেন্সে নিস্তব্ধতা ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ধানমন্ডি ১০/এ। বাড়ি নম্বর ২৮, যার নাম কিউসি রেসিডেন্স।

বাড়ির সদর দরজা বন্ধ। দাঁড়িয়ে আছেন কেবলমাত্র একজন দারোয়ান। শুনশান নীরবতা। জানালার পর্দা সরেনি তখনো। ঘুম ভাঙেনি যেন বাড়িটির।

অথচ এখন দেশের অসংখ্য মানুষের নজর এই বাড়িটির দিকে। কারণ বাড়ির মালিক মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। এক সময় এই বাড়িতে দিনে শত শত বিএনপি নেতা কর্মীর আসা যাওয়া থাকলেও আজ তা ফাঁকা। পরিবারের লোকজন ছাড়া নেই কেউই।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল থাকলেও তিন দিনে বিএনপির কোনো নেতা কর্মীর দেখা মেলেনি কিউসিতে। রিভিউ এর পর দলটিও যেন প্রত্যাখ্যান করেছে সাকা চৌধুরীকে।

সাকা পরিবারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাংলানিউজকে বলেন, বিপদে পড়লে সবার আসল রূপ বোঝা যায়। বিএনপির জন্য উনি কি কম কিছু করেছেন! ছাত্রদলের অনেক নেতার পেটে ভাত জুটেছে তার টাকায়। অথচ আজ কেউ একটু খোঁজ খবর পর্যন্ত নিচ্ছে না।

কিউসির পাশ্ববর্তী একটি ভবনের এক নিরাপত্তা কর্মী বাংলানিউজকে বলেন। আমি এই এলাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছি। এই বাড়িতে প্রতিদিন কত যে মানুষ আসতো তা গুণে বলা সম্ভব না। কিন্ত গত কয়েকদিন ধরে কেবলমাত্র গাড়িতে করে দুই একজন লোক এসেছে।

বৃহস্পতিবার বাড়িটিতে সকাল থেকেই আত্মীয় স্বজনদের আনাগোনা থাকলেও শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সাকা'র কোনো স্বজনেরও। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে বর্তমানে সাকা চৌধুরীর দুই পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী সাকা পত্নী ফারহাত কাদের চৌধুরীর সঙ্গে রয়েছেন।

ইতোমধ্যেই রিভিউ আবেদনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করে পড়ে শোনানো হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা দেশের দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও  সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তাদের এ রায় পড়ে শোনান কারা কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেসার আলম, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির এবং ডেপুটি জেলার শিরিন আক্তার, মোহাম্মদ লাভলু, মাজহারুল ইসলাম ও সর্বোত্তম দেওয়ান।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
ইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।