ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডাকের অপেক্ষায় মুজাহিদের পরিবার

জেসমিন পাপড়ি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
ডাকের অপেক্ষায় মুজাহিদের পরিবার ছবি: সোহাগ ও মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

উত্তরা থেকে: নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে। আর সাক্ষাতের জন্য অনুমতি চাইবেন না তারা।

এখন শুধু জেল কর্তৃপক্ষের ডাকের অপেক্ষায় পরিবারটি। সে ডাক হতে পারে পুনরায় সাক্ষাতের সুযোগ অথবা তার নিথর দেহ দেখার।

রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে লেক পাড়ের মিশন তামান্না’র একটি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী মুজাহিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমনটিই।

নিত্য দিনের ব্যস্ততা এখানে অনুপস্থিত। শোকে মোড়া পুরো পরিবার। ভিতরে প্রবেশের অনুমতি না মিললেও বাড়ির নিচেই দেখা মেলে মুজাহিদের ছোটভাইসহ আরও কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে। তাদের হাতে থাকা খাবারের বাটি দেখে বুঝে নিতে হয়, উনুন জ্বলছে না।

মুজাহিদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনজন আগেই মারা গেছেন। বাকি ভাইদের মধ্যে ছোটভাই মোহাম্মদ আলী আহমেদ আসলাম ছাড়া অন্যদের বসবাস ফরিদপুরেই। বোনদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে এসেছেন খাবারের বাটি হাতে।

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ হয়েছে। এখন শুধু কর্তৃপক্ষের ডাকের অপেক্ষায় আছি। তারা যদি আবার আমাদের ডাকে, তবেই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবো। দুপুরের আগেই তারা মিশন তামান্না থেকে বের হয়ে যান।

জানা যায়, তিন ছেলের কেউই বাড়িতে নেই। নানা কাজে বেরিয়েছেন তারা। তবে বিদেশ থেকে আসা মুজাহিদের একমাত্র মেয়ে মায়ের কাছেই থাকছেন সারাক্ষণ। টেলিফোনে কথা হয় মুজাহিদের ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুরের সঙ্গে। তিনিও  বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবারেই আব্বার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছি। আবার দেখা করার কোনো আবেদন আমরা করিনি। তবে তার আইনজীবীরা পুনরায় সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছেন। যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন তবে দেখা করবো।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সাধারণ দিনের মতো রাস্তায় লোক চলাচল না থাকলেও আশপাশের বাড়ির লোককজনের চোখ তামান্না মিশন ঘিরে। বাড়িটিতে তেমন কোনো নিরাপত্তা বলয় নেই। সামনে গিয়ে দাঁড়ালে একজন বৃদ্ধ দারোয়ান বেরিয়ে আসেন। দেখা মেলে মুজাহিদের পরিকারের ঘনিষ্ঠজন কামাল খানেরও।

তিনি জানান, উপরের যাওয়ার অনুমতি নেই। বুঝতেই পারছেন পরিবারটির মানসিক অবস্থা। যদি কিছু জানানোর থাকে আমরাই আপনাদের জানাবো। জানা যায়, রিভিউ রায়ের পর থেকে জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী এ বাড়িতে আসেনি।

গত বুধবার মুজাহিদের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়। বৃহস্পতিবার রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছেছে। ওইদিন কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করে তার পরিবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
জেপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।