ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আয়কর মেলা

ছুটির দিনে চাকরিজীবীদের আধিপত্য

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
ছুটির দিনে চাকরিজীবীদের আধিপত্য ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শীতকালীন আয়কর মেলার দ্বিতীয় দিনে মানুষের ভিড়। মূলত ছুটির দিন হওয়ায় রিটার্ন দাখিল ও ই-টিআইএন নিতে ভিড় করছেন করদাতারা।

যার মধ্যে আধিপত্য চাকরিজীবীদের।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবের খেলাঘরে মেলায় আগতদের মধ্যে বেশিরভাগই সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। মেলায় সহজে করসেবা পাওয়ায় মানুষের আগ্রহ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঢাকায় দু’টিসহ ছয়টি বিভাগীয় শহর এবং আটটি স্থানে মেলার আয়োজন করেছে।

ডাক বিভাগে চাকরি করেন শবনম মোস্তারি রিক্তা ও ভাই মো. মাসুদ আলী। ভাই মাসুদ আলীর সহায়তায় প্রথমবারের রিটার্ন দিতে মেলায় এসেছেন রিক্তা। মাসুদ আলী বাংলানিউজকে জানান, চাকরির প্রথম বছর কর অঞ্চলে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এরপর গত চার বছর ধরে মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
 
তিনি বলেন, বোন (রিক্তা) আমি মানিকজোড়। প্রথমবার নিজে নিজেই জমা দেবে তাও আবার মেলায়, এ বায়না থেকে আমাকে নিয়ে এসেছে। বাধ্য হয়ে পূরণ করছি।
 
রিক্তা বাংলানিউজকে বলেন, ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল আমি। প্রতিবছর অফিসিয়ালভাবে জমা দেই। কিছুটা সময় লাগে ও হয়রানির শিকার হতে হয়। ছুটির দিন আর অভিজ্ঞতার জন্য এবারই মেলায় আসলাম। ভাইয়ের সহায়তা নিচ্ছি। তবে মেলায় ভালো সেবা পেয়ে ভালোই লাগছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী ফেরদৌস আহমেদ। প্রতিবছর জাতীয় আয়কর মেলায় রিটার্ন দাখিল করলেও চাকরির ব্যস্ততায় এবার পারেননি। তাই এসেছেন মেলায়।
 
মেলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, কর অফিস আর মেলা সম্পূর্ণ আলাদা। মেলায় অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন কর্মকর্তারা। কিন্তু অফিসে তা দেখি না।

এনা গ্রপে চাকরি করেন ইফতেখার আহমেদ। ছুটির দিন হওয়ায় স্ত্রী ও এক বড় ভাইকে নিয়ে রিটার্ন দিতে এসেছেন মেলায়। ছুটির দিনে এতো ভিড় দেখে অবাক তিনি।
 
ইফতেখার আহমদ বলেন, নাগরিক দায়িত্ব থেকে কর দেওয়া। শুধু আমি না পরিবারের সবাই মেলায় কর দেয়। এতো দীর্ঘ লাইন দেখে ভয় পেয়েছি! তবে দ্রুত সেবা পেয়েছি।

খিলগাঁও মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক মো. মমিনুল হক। প্রতিবছর মেলায় কর দেন। ছুটির দিন হওয়ায় এবার নিজের সঙ্গে দুই সহকর্মী শিক্ষকের রিটার্ন দিতে এসেছেন।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় চাকরিজীবীরা বেশিরভাগ ভিড় জমিয়েছেন। সকাল ১০টায় মেলার গেইট খোলার আগেই অনেকে চলে এসেছেন।
 
মেলার আহ্বায়ক মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, ছুটির দিন হওয়ায় এতো ভিড়। মানুষের মধ্যে কর সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেবা পাচ্ছেন তার প্রমাণ এই ভিড়। শনিবারও (২১ নভেম্বর) ছুটির দিন। আরও বেশি ভিড় হবে।
 
শীতকালীন মেলায় ১৪টি কর অঞ্চলের ২৮টি বুথ, দু’টি ই-টিআইএন, একটি এলটিইউ ও একটি কর জরিপ কেন্দ্র রয়েছে। শুক্রবার তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
আরইউ/আইএ

** দ্বিতীয় দিনে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু
** হেল্পডেক্স নেই আয়কর মেলায়, শুক্রবার দেওয়ার আশ্বাস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।