ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী উন্নয়নে সরকারি-বেসকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
নারী উন্নয়নে সরকারি-বেসকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নারীদের এগিয়ে নিতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী ও শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ  অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন স্পিকার।

নারী শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নারী, শিশু ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর রোল মডেল।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে ১২তম আন্তর্জাতিক আন্ত:মন্ত্রণালয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থা পার্টনার্স ইন পপুলেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট (পিপিডি) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল “এভরি ওমেন, এভরি চাইল্ড এন্ড এভরি এডোলসেন্ট”।

স্পিকার বলেন, পিপিডি’র এই সম্মেলন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের সাথে কার্যকর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করলে নারী ও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, নারী শিক্ষার উন্নয়ন,  বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল।

বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনে সফল হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে  এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নারী, শিশু ও কিশোরীদের সহয়তায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতিমধ্যে নারী শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
 
তিনি বলেন, নারী উন্নয়নে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিকভাবে সাউথ এশিয়ার মধ্যে ভালো পারফর্ম করছে বাংলাদেশ। প্রত্যেক নারী প্রত্যেক শিশুকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলের উপদেষ্টা ও অটিজম বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বলেছেন, নারীদের পিছিয়ে রাখলে চলবে না। তাদের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য পুরুষদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি অনুষ্ঠানে নারীদের উপস্থিতি নিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানেই দেখুন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক কম। এটাই হলো বাস্তব চিত্র। তাই নারীদের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা পুরুষের তুলনায় কোন কাজেই কম নয়। নারীরা ঘরে বাইরে সব খানেই অনেক বেশি কাজ করে। কিন্তু তাদের সেভাবে দেখা হয় না।

ভারতের  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী এবং পিপিডি এর ভাইস চেয়ার জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম , চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের উপমন্ত্রী ওয়াং পেইয়ান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য প্যানেলের উপদেষ্টা এবং গ্লোবাল অটিজম, বাংলাদেশ এর চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত  মার্সিয়া স্টিফেন্স বার্নিক্যাট।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া পিপিডি বোর্ডের ট্রেজারার তিউনিসিয়ার রিধা গাটা, ইউএনএফপিএ এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক ড.  ইয়োরিকো ইয়াসুকাওয়া, ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. কারিন হালশফ, জাতিসংঘের প্রতিনিধি ড. নানা তাওনা কুও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এসএম/ইইউডি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।