কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে প্রথম দফায় ১৬ পরিবারের ৭২ জন ভারতে যাচ্ছেন রোববার।
ইতোমধ্যে মালপত্র বেঁধে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে দাসিয়ারছড়ার ১০ পরিবার ও ভুরুঙ্গামারীর ছোট গাড়লঝোড়ার চার পরিবার।
রোববার (২২ নভেম্বর) তাদের বিদায়কালে প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
ইতোমধ্যে ট্রাভেল পাসধারী দাসিয়ারছড়ার ৭০ জন তাদের মত পাল্টে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ভারতে যাওয়ার দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে ট্রাভেল পাসধারী ভারতের নতুন নাগরিকরা। তারা পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে থেকে যেতে চান।
কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের যারা ভারত যেতে চান তাদের তিন দফায় ভূরুঙ্গামারী বাগভাণ্ডার ও ভারতের সাহেবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রথম দফায় ২২ নভেম্বর দাসিয়ারছড়ার ১০টি পরিবারের ৪৮ জন এবং ভুরুঙ্গামারীর ৬ পরিবারের ২৪ জন, ২য় দফা ২৪ নভেম্বর দাসিয়ারছড়ার ১৯টি পরিবারের ১১৫ জন এবং ২৬ নভেম্বর বাকিদের নিয়ে যাওয়া হবে। কেউ যদি কোনো কারণে এসব তারিখে যেতে না পারে তাদের জন্য ২৯ নভেম্বর রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে থেকে যেতে চাওয়া ট্রাভেল পাসধারী দাসিয়ারছড়ার বাবুল চন্দ্র বর্মণ, নারায়ণ বর্মণ, বদিয়ার রহমান জানান, আকর্ষণীয় প্রলোভন ও অধিক সুযোগ-সুবিধা পাবার আশায় ভারতে যেতে নাম লিখিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের মনে এখনো অজানা ভয় কাজ করছে।
তারা আরো জানান, সত্যিই কি তারা এসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নাকি হতে হবে প্রতারণার শিকার। এরই মধ্যে লিটনের নেতৃত্বে ট্রাভেল পাসধারী ১০ সদস্যের একটি টিম ভারত ঘুরে এসে হতাশার কথা ব্যক্ত করেন। এ খবর জানাজানি হলে ৭০ জন নাগরিক তাদের মত পাল্টিয়ে এ দেশে থেকে যেতে আবেদন করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাভেল পাস প্রাপ্তদের ভারতে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু যারা এখন ভারতে যেতে চান না তাদের ব্যাপারে সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিদ্ধান্ত জানায় নি। তবে নির্দেশনা রয়েছে কাউকে ভারতে যেতে বাধ্য করা হবে না। এ অর্থে ভারতের ট্রাভেল পাসধারীরা ভারতে যেতে না চাইলে বাংলাদেশে থেকে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এমজেড