ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার মধ্যে একে একে সব দোকান বন্ধে অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
কারাগারের সামনে নাজিমউদ্দিন রোডের পাবনা জেনারেল স্টোরের মালিক ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ এসে রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিতে বলেছে। শুধু আমিই নই, সবাইকেই একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে প্রস্তুতি।
জানা যায়, ফাঁসির মঞ্চের লাইট এবং সামিয়ানা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সঙ্গে গেছে মই ও চোঙা।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকরে সাতজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারাই মূলত ফাঁসির আগে-পরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এই সাতজন হলেন, জল্লাদ আবুল, হজরত, মাসুদ, ইকবাল, রাজু, শাহজাহান ও মুক্তার। সাতজন জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর থেকে শুরু করে তার আগে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া, মরদেহ ওঠানোর মতো সব কাজ করবেন।
অন্যদিকে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স। মানবতাবিরোধী অপরাধে আরও দু’টি ফাঁসির মতোই এবারও প্রস্তুত অ্যাম্বুলেন্স।
কারাগার এলাকায় তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগে থেকেই কারা এলাকায় নিরাপত্তা ছিল জোরদার, তবে বিকেল থেকে আরও বাড়ানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মফিজউদ্দিন আহমেদ। তিনি শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জানান, হঠাৎ করেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যদিও আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু এখন তা তিন স্তরে আনা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যান চলাচলও।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রথম সারিতে রয়েছে পুলিশ বাহিনী, দ্বিতীয় সারিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), তৃতীয় সারিতে কারারক্ষী বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এজেডএস/এনএ/এসজেএ/আইএ