ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সাকা-মুজাহিদের লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
‘সাকা-মুজাহিদের লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হোক’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: একাত্তরের নৃশংসতম যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের ওরফে সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলার সাক্ষী উম্মে হাবিবা সুলতানা।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধাপরাধীদের লাশ বাংলাদেশের মাটিতে রাখলে মাটিও কান্না করবে।

স্বাধীন এই দেশের মাটি কলঙ্কিত হবে। তাই এদের লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে পারলে খুশি হতাম।

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন মামলার অন্যতম এই সাক্ষী।  

রাজাকারকে স্থান দেওয়ার কারণে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের রাজনীতি বন্ধ করা হোক।

মামলার সাক্ষী দিতে গিয়ে সাকা চৌধুরীর নানা কটূক্তির শিকার হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ভাল করে হাটতে পারি না। তাই সাকা আদালতে আমাকে বলে ‘ল্যাংগর ক্যা, দৌর দেনা। ’

অনেক বছর পর সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাল(রোববার) সুখের নিদ যাব।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা। তবে সর্বোচ্চ সাজার প্রেক্ষিতে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৮ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান সাকা। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাননি বিভিন্ন কটূক্তি করে সমালোচনার তুঙ্গে থাকা সালাউদ্দিন কাদের। যদিও কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে ছেলে হুম্মাম বলেছেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি। রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরী ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।