ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘হেগো মতো হগগল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই’

জান্নাতুল ফেরদৌসী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
‘হেগো মতো হগগল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই’

ঢাকা: ‘হেরা অনেক বড় অপরাধী। দেশের শত্রু ।

ফাঁসি হইছে, ভালা হইছে। হেগো মতো হগগল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই। ’

দেশের দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় কথাগুলো বলছিলেন রিকশাচালক নজরুল ইসলাম।

আরেক সরকারি চাকরিজীবী শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, তারা যে অপরাধ করেছে তাতে আরও আগেই তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো। তাদের ফাঁসি হওয়ায় বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হলো।

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বাংলানিউজকে এসব প্রতিক্রিয়া জানান।

নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক খুশি হইছি। হেরা যে অপরাধ করছে, তার কোনো ক্ষমা নাই।

মুক্তিযোদ্ধা আনসারুল ইসলাম বলেন, যারা দেশের শত্রু, তাদের দিন শেষ। দিনমজুর মো. সাগরের ভাষ্য, অন্যায় করছে দেইখাই আজ হেগো এই অবস্থা হইছে। এতো সুন্দর দেশটারে হেরা পাকিস্তানিগো হাতে তুইলা দিবার চাইছিলো।

বেসরকারি চাকরিজীবী সুমন বলেন, দেশের শত্রুদের সঠিক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি হয়েছে। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য গর্বের এবং আনন্দের।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক হাসান বলেন, সরকার প্রমাণ করেছে এদেশে ন্যায়বিচার আছে। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হলো।

তবে মুজাহিদ-সাকার ফাঁসি প্রসঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। রিকশাচালক মতিন বলেন, ফাঁসি না দিয়া, অন্য শাস্তি দিতে পারতো সরকার। অপরাধ তো করছে অনেক আগে। কয়দিন পর তো মইরাই যাইতো।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আনুশকা বলেন, ফাঁসি দিলেই তো সব সমস্যা সমাধান হয় না। তাদের অন্যভাবে শাস্তি দিতে পারতো সরকার।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশের দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের। এ ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশে আরও একটি নতুন ইতিহাস রচিত হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১৫
জেডএফ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।