ঢাকা: বলিষ্ঠ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর পুঁজিবাজার গঠনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে সবসময় সজাগ থাকার পাশাপাশি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক বিনিয়োগ। একটি বলিষ্ঠ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর পূঁজিবাজার, শিল্পকারখানা ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনিয়োগকারী ও দেশের স্বার্থে নিজেদের কর্মকাণ্ড আরও বেশি যত্নের সঙ্গে পরিচালনা করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক সই করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এম. খায়রুল হোসেন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুমার সিনহা।
সই হওয়া সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ চুক্তি দুই দেশের পুঁজিবাজার তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আরও উন্নত স্তরে নিয়ে যেতে ডিজিটালাইজড ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ, শেয়ার বাজার সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগাম চালুসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সঠিক সংস্কার কার্যক্রম ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে। আমি মনে করি এটি একটি বিরাট অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচনে সবাইকে সব সংকীর্ণতার ঊর্দ্ধে উঠে উদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এ কথা মনে রাখতে হবে আমাদের দেশে, বিশেষ করে এ অঞ্চলে এখনও বহু মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। আমাদের লক্ষ্য একটাই, এ দরিদ্র মানুষগুলোকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করা। সে লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমাদের সব প্রয়াস।
বাংলাদেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আমরা নিম্ন থাকতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের আগে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিন এশিয়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হওয়া।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারতের পারস্পরিক সু-সর্ম্পকের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারতকে আমরা সবসময় আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে মনে করি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এসময় মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এমইউএম/এসএস