ঢাকা: শাস্তি মওকুফে সব চেষ্টাই দণ্ডিতরা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রথমে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন জামায়াত নেতা মুজাহিদ ও পরে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয়নি বলে পরিবারের দাবি মিথ্যা বলে জানালেন তিনি।
ফাঁসির রায় বাস্তবায়নে জাতি প্রশান্তি পেয়েছে বলেও মন্তব্য মন্ত্রীর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির প্রত্যাশা ও দাবি ছিল এ বিচার। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছিলাম, তাদের এটি প্রাণের দাবি ছিলো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা ছিলো।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, প্রশান্তি পেয়েছে, দায়মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪৯ নম্বরে রয়েছে, কোন কর্মকাণ্ডের পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। ধরেই নিয়েছিলাম, তারা ক্ষমা চাইবে না। কিন্তু সকালে মুজাহিদ প্রথমেই ৪৯ অনুসারে ক্ষমা চান।
এরপর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে ৪৯ উল্লেখ করে ক্ষমা চান। তাদের আবেদন আমরা রাষ্ট্রপতিকে পৌঁছে দিয়েছি। ক্ষমা না চাইলে আমরা এসব করবো কেন?
পরিবারের কাছে হয়তো এ বিষয়ে জানা ছিলো না। কারণ ক্ষমা আমাদের মাধ্যমে চেয়েছেন দণ্ডিতরা।
তারা শাস্তি মওকুফের সব চেষ্টাই করছেন। এসব আবেদন পত্র গোপনীয়, প্রকাশ করা যাবে না।
তাদের হরতালে জনগণ কখনো সম্পৃক্ত হয়নি। এবারও হবে না।
প্রাণভিক্ষার বিষয়ে যে বিভ্রান্তি তারা করেছেন, তাতে আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে প্রশ্নের জবাবে জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় কাজ করছে। জন সাধারণের বেশিরভাগ এখানে আনন্দ করছে রায়ের বাস্তবায়নে। তাই কোনো বাজে পরিস্থিতি আশঙ্কা করছেন না।
রায়ের ব্যাপারে কোনো চাপে প্রধানমন্ত্রী বিচলিত হন না। শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, ছোটখাট অনেক জায়গা থেকেই অনুরোধ আসে, প্রধানমন্ত্রী তাতে বিচলিত হন না কখনোই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসকেএস/বিএস