সিলেট: সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত চার আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
দ্বিতীয় দিনে আদালতে নিহত আবু সাঈদের মা সালেহা বেগমসহ মামলার ১১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। আদালতের পিপি অ্যাডাভোকেট আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
মামলায় ১১ সাক্ষীর অন্যরা হলেন- সাঈদের মামা জয়নাল আবেদীন, বিল্লাল আহমদ, সেলিম আহমদ, প্রতিবেশী আব্দুল আহাদ তারেক, মোক্তাদির আহমদ জুয়েল, আব্দুল কুদ্দুছ, দেলোয়ার হোসেন, সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন, কনস্টেবল আবুল কাশেম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সফরাজ আহমেদ।
এর গত ১৯ নভেম্বর মামলার বাদী ও হত্যাকাণ্ডের শিকার আবু সাইদের বাবাসহ আব্দুল মতিনসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এনিয়ে মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে জানিয়েছেন নিহত শিশু আবু সাঈদের মামা মামলার অন্যতম সাক্ষী জয়নাল আবেদীন।
এর আগে সকালে পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, পুলিশের কথিত সোর্স গেদা, ওলামা লীগ নেতা আব্দুর রাকিব ও মুহিবুর রহমান মাসুমকে আদালতে হাজির করা হয়।
চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম। অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
এরপর গত ১৬ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার শুনানির ধার্য তারিখে চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশীদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এনইউ/জেডএস