কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের অধিবাসীদের মধ্যে থেকে প্রথম দফায় ভারতে গেলেন ১৫ পরিবারের ৭২ জন।
রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ১০টি ট্রাকে মালপত্র বোঝাই করে ও দুটি বাসে করে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।
এরআগে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তারা সকাল ১০টায় তারা স্ব স্ব ছিটমহল থেকে বাগভান্ডারের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ পরিচিত জনদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বেলা ১১টায় বাগভান্ডার সীমান্তের অস্থায়ী চেক পয়েন্টে পৌঁছান তারা। সেখানে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে তাদের ট্রাভেল পাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভারতে প্রবেশ করেন তারা।
এ সময় তাদের বরণ করেন ভারতের কোচবিহারের ডিএম পিউল গানাথনসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্য সচিব অভিজিত মিত্র।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম, ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কুড়িগ্রামের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও ভুরুঙ্গামারীর ইউএনও মামুন ভূঁইয়াসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার ভারত যাওয়াদের মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ার ১০টি পরিবারের ৪৯ জন ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ছোট গাড়লঝাড়ার ৫টি পরিবারের ২৩ জন রয়েছেন।
দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মী রাণী বলেন, ২ ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতি-নাতনীসহ ১০ জন ভারতে যাচ্ছি। যেতে খুব খারাপ লাগছে কিন্তু উপায় নাই। আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন ভারতে থাকায় সেখানে যেতে হচ্ছে।
একই ছিটের বাসিন্দা সামছুল হক জানান, তারা পরিবারের ৯ জন ভারতে যাচ্ছেন। তার ৪ ভাইসহ বাবা-মা বাংলাদেশে থাকবেন। জন্মভূমি ছেড়ে যেতে খুবই খারাপ লাগছে তার।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ১২টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩০৫ জনের ভারতে যাওয়ার কথা থাকলে শেষ পর্যন্ত ২৬৫ জন যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার প্রথম দফায় ৭২ জনকে পাঠানো হয়েছে। ২৪ নভেম্বর যাবেন ১১৫ জন এবং ২৬ নভেম্বর যাবেন বাকি ৭৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসআর