রাজশাহী: দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকরকে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ ঘটনা ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান বলেন, শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি বিজয়। আমরা আশা করি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে এ সরকার নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি দেশ উপহার দিয়ে যাবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, দেশ, জাতি ও মুক্তিযোদ্ধারা কলঙ্কমুক্ত হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাবা-চাচাসহ আমার পরিবার থেকে ১৩ জন জীবন দিয়েছেন। দেরিতে হলেও এ ধরনের জঘন্যতম অপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর হচ্ছে, এতে আমি আনন্দিত।
মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষও এ রায় কার্যকর হওয়া উল্লাসে মেতে উঠেন।
নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজশাহীর তরুণ কবি শামীম হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে।
এ সরকার রাজাকার আলবদর মুক্ত একটি স্বাধীন মাতৃভূমি সবার জন্য তৈরি করে যাবে এটাই আমাদের বিশ্বাস, যোগ করেন শামীম।
এদিকে, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় রাজশাহীতে মিষ্টি বিতরণ করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ ও মহানগর যুব শ্রমিক লীগের নেতারা।
রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান খায়ের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুব শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক চঞ্চল কুমার সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাভ্যন্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসএস/এটি