জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (ভিআইপি) বিদেশে গিয়ে সেদেশের আইন মেনে চললেও, দেশে আইন মানতে চান না। এদের জন্য বিমানবন্দরে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, বললেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
রোববার (২২ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মেনন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেলে এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। বিষয়টি জনগণকে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অবহিত করতেই আমি এসব কথা বলছি।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আন্তর্জাতিক তথা জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করা হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়টি একটি চলমান ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব পরিস্থিতি যেমন রাশিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনাসহ ফ্রান্স ও মালির সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, প্লেন ছাড়ার আগে সেই দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। শুধু বিমান নয়, অন্যান্য এয়ারলাইনসের যেসব প্লেন বাংলাদেশ ত্যাগ করে, সেগুলোর গন্তব্যস্থল পর্যন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি ডিপারটিং কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের ওপর বর্তায়।
এ সময় যারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিমানবন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন এয়ারলাইনস এবং যাত্রীরা যে সহযোগিতা করছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করছি। তবে বিদেশি এয়ারপোর্টে সব নিয়ম-কানুন মেনে চললেও, কখনো কখনো অল্পসংখ্যক ভিআইপি যাত্রী এদেশের নিয়ম মানতে চান না। তাদের রিসিভ করতে আসা লোকজন প্রবেশ করতে ও বোর্ডিং ব্রিজ এরিয়ায় থাকার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তারা চাপ সৃষ্টি করেন। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।
এ সময় মেনন বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের পরও এদেশে পর্যটক তথা বিদেশি নাগরিকদের আগমন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর হতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭ হাজার ৫১৭ জন পর্যটক এসেছেন। অথচ ২০১৪ সালে এই সময়ের মধ্যে এ সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ৮৭০ জন। অর্থাৎ বিদেশিদের আগমন বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ঢাকা-নিউইর্য়ক রুটে আমরা ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করছি। এই জন্য ক্যাটাগরি ‘এক’ এ উন্নীত করার জন্য প্রায় সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। এজন্য বিমানবন্দরের জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে মন্ত্রী বিমানবন্দর ও উড়োজাহাজের নিরাপত্তার জন্য অতীতের মতো সবার সহযোগিতাও কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসএম/আরএম
** বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব
** ৩৯ বছরে বিদেশ গেছেন ৯৫ লাখ কর্মী
** দুদিন বিরতির পর অধিবেশন শুরু