ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাঁচ কোটি টাকার ফগলাইটেও রাতে চলছে না ফেরি

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
পাঁচ কোটি টাকার ফগলাইটেও রাতে চলছে না ফেরি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থেকে ফিরে: শীতের ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-পথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছরের জুন মাসে ১০টি ফেরিতে লাগানো হয়েছে ফগলাইট (কুয়াশা বাতি)।

আমেরিকা থেকে আমদানি করা এসব ফগলাইট ঠিকাদারের মাধ্যমে স্থাপন করতে ব্যয় হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা।

চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই কয়েক দফা কুয়াশা পড়েছে। অথচ এ সময় মাস্টাররা ফগলাইট জ্বালিয়েও ফেরি চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

রো রো ফেরি শাহ পরানের মাস্টার আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ফগলাইট লাগানো হয়েছে। কিন্তু কুয়াশার মধ্যে এ লাইটেও কিছুই দেখা যায় না।  

কোটি কোটি টাকা খরচ করে লাগানো লাইট কোনো কাজে আসছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-পথে শীতের বেশিরভাগ সময়ে কুয়াশার কারণে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। এর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খান চলতি বছরের এপ্রিলে ফেরিতে উন্নতমানের ফগলাইট লাগানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কাছে।
 
সংশ্লিষ্টদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীর সুপারিশে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় জুন মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১০টি ফেরিতে ফগলাইট লাগায়। সাড়ে ৭ হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি লাইটের দাম প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
 
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথের রো রো ফেরি খানজাহান আলী, শাহ আলী, কেরামত আলী, ভাষা শহীদ বরকত ও কে-টাইপ ফেরি কপোতি এবং শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ আমানত ও শাহ পরানে এসব ফগলাইট লাগানো হয়।

ফগলাইট লাগানোর সময় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নেভিগেশনাল এইড সংযোজনের মাধ্যমে এ লাইট দেশের ফেরিতে প্রথম ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে শীত মৌসুমের ঘন কুয়াশার মধ্যেও ফেরি চলাচল করতে পারবে। অথচ গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-পথে ৩১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা’র (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ইউনিটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, ঘন কুয়াশায় ফগলাইটগুলো কোনো কাজেই আসছে না। যে উদ্দেশ্যে লাইটগুলো লাগানো হয়েছে, সে উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসই/আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।