ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দ্বিতীয় দফায় ভারতে গেলেন পঞ্চগড়ের ১৪৭ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
দ্বিতীয় দফায় ভারতে গেলেন পঞ্চগড়ের ১৪৭ জন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়: দ্বিতীয় দফায় পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের ২টি ছিটমহল থেকে ২৮টি পরিবারের ১৪৭ জন নতুন ভারতীয় নাগরিক ভারতে গেলেন।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিল‍ুপ্ত কোটভাজনি ও বালাপাড়া ছিটমহলের নতুন ভারতীয়রা স্থানীয় গাঁজকাঠি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের চেকিং ও লোডিং পয়েন্ট থেকে ৪টি বাস ও ৭টি ট্রাকে মালামালসহ ভারতের উদ্দেশে রওনা হন।



পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের প্রথম সেক্রেটারি রমা কান্ত গুপ্ত’র কাছে ১৪৭ জন নতুন ভারতীয় নাগরিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হস্তান্তর করেন।

জন্মভূমি ছেড়ে যাওয়া এ নতুন ভারতীয়দের অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানান স্বজনেরা। এ সময় চারিদিকের বাতাস ভারী হয়ে উঠে তাদের বুক ফাটা কান্নায়।

পরে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যানবাহন, মালামালসহ তাদের নিয়ে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি বিওপির পথে রওনা দেন।

দুপুরে ডাঙ্গাপাড়া বিওপির বিজিবি নতুন ভারতীয়দের ভারতের খালপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প ও কোচবিহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করবেন।

নতুন ভারতীয়দের গ্রহণ করতে ভারতের কোচবিহার প্রশাসন চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সীমান্তে ভারতের খালপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প ও বাংলাদেশের ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডে ১৫০ গজের একটি নতুন রাস্তা তৈরি করেছেন।

এছাড়াও ভারতীয় বিএসফ তাদের সীমানার অভ্যন্তরে একটি তোরণ ও মঞ্চ তৈরি করেছেন।

এর আগে ২২ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ৫টি ছিটমহল থেকে ৪৮ জন নাগরিক ভারতে যান। এ নিয়ে দুই দফায় পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে ১৯৫ জন নতুন ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেলেন।

একইভাবে ২৪ নভেম্বর দেবীগঞ্জ উপজেলার ১টি ছিটমহলের ২৯টি পরিবারের ১৪৯ জন এবং ২৬ নভেম্বর দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলার ২টি ছিটমহলের ২৩টি পরিবারে ১০৮ জন ভারতীয় নাগরিকের একই পথে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চলতি বছরের ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত জনগণনায় পঞ্চগড় জেলার সদ্য বিলুপ্ত  ৩৬টি ছিটমহলের ৪৮৭ জন নাগরিক ভারতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

জনগণনার পর দেবীগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনি এলাকার লাল চান রায়ের সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুপুত্র ভারত চন্দ্র ও একই উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ি ছিটমহলের রতন চন্দ্র রায়ের সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা অষ্টমী রাণীর জন্ম হওয়ায় ভারতে যাওয়ার মোট সংখ্যা বর্তমানে ৪৮৯ জনে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।