বগুড়া: যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিবাদে দলটির ডাকা সোমবারের (২৩ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সাড়া নেই বগুড়াবাসীর।
সকাল ১০টার পর থেকে শহরের সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, অফিস আদালত, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কে নানা রুটে যান চলাচল করছে। যাত্রীর ভিড়ও ছিল লক্ষ্যণীয়। অর্থাৎ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকেও অন্যান্য দিনের মতো লেনদেন চলছে।
শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চলাচল করছে বিভিন্ন রুটের যানবাহন। ঢাকা-বগুড়া ও বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে মালবাহী ট্রাকও চলাচল করছে।
এদিকে সোমবার হরতাল শুরুর পর জেলা শহর ও অন্যান্য উপজেলাতেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয় যায়নি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। টহল দিচ্ছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বিজিবি সদস্যরা।
জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি বি-সার্কেল) গাজীউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কবর পাওয়া যায়নি।
‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোশাকধারী কর্মকর্তার পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নাশকতা ঠেকাতে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় জলকামান ও রায়টকার মোতায়েন করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এমবিএইচ/এমএ