ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর ইস্যুতে পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার সুজা আলমকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় তার হাতে সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত প্রতিবাদ লিপি তুলে দেওয়া হয়।
তলবের প্রেক্ষিতে দুপুর আড়াইটার আগে প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘পদ্মা’য় আসেন সুজা আলম। প্রায় আধা ঘণ্টা আনুষ্ঠানিকতার পর তার হাতে লিখিত প্রতিবাদ লিপিত তুলে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ লিপি তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজানুর রহমান। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশীয় অণুবিভাগের মহাপরিচালক তারিক মো. আরিফুল ইসলামসহ শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রতিবাদ লিপি নিয়ে বেলা ৩টার পর ‘পদ্মা’ ছাড়েন সুজা আলম।
তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ লিপিতে কী লেখা ছিল এ বিষয়ে কোনো পক্ষই মন্তব্য না করলেও পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনার সুজা আলমকে বলা হয়েছে, ‘এই দুই দোষী অপরাধীর পক্ষে পাকিস্তানের মন্তব্য খুবই দুঃখজনক বিষয়। এই অনভিপ্রেত মন্তব্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর শামিল, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ’
শনিবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ দণ্ড কার্যকরে রোববার (২২ নভেম্বর) উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কাজী খলিকুল্লাহ। রোববারই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ফাঁসির মতো ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। গভীর যন্ত্রণা অনুভব করে পাকিস্তান। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে পাকিস্তান। ’
বিবৃতিটির প্রেক্ষিতে সুজা আলমকে তলব করে সরকার এ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালো
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএ/এইচএ