গাজীপুর: শ্রীপুরে গ্যাস সম্প্রসারণ প্রকল্পে লাইনের নকশার ওপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের ও শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটারের দু’টি গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের নকশার ওপর একটি চক্র অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম রেজা বাংলানিউজকে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে শ্রীপুর উপজেলার যেসব গ্যাস সম্প্রসারণ লাইনের নকশার ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
এসময় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম একই উপজেলার আরেকটি অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
শ্রীপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার গ্যাস সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুস ছাত্তার বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পের গ্যাস লাইন চিহ্নিত করার পর থেকেই ওইসব অবৈধ স্থাপনাগুলো নির্মাণ শুরু হয়। ব্যক্তিগত অথবা সংঘবদ্ধভাবে নামমাত্র আবাদি জমিতেও এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে এরকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি।
স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক হারুন-অর রশীদ ফরিদ।
তিনি জানান, এক শ্রেণির অসাধু চক্র প্রকল্পের ম্যাপ অনুযায়ী ওই জমিতে অস্থায়ী ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। সরকারের কাছ থেকে জমির উচ্চমূল্য নেওয়ার জন্য কয়েকটি চক্র জমির মালিকের কাছ থেকে পাইপ লাইনের জমি ইজারা নেয়। পরে সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তোলে। এভাবে গাজীপুরের সখীপুরে পাঁচটি গ্রামে ফসলের জমিতে টিনের ছাপড়া ঘর তুলেছেন তারা।
এরই প্রেক্ষিতে সরকারের রাজস্ব রোধকল্প ও অপচয় রোধে চলতি বছরের ১৭ মে উচ্চ আদালতে হারুন-অর রশীদ ফরিদ একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১৮ মে গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
কিন্তু গত ছয় মাসেও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে দুই জেলা প্রশাসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।
১৫ নভেম্বর উচ্চ আদালতের যৌথ বেঞ্চ বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল আলম কামাল তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
পরে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
ওএইচ/এসএস