ধুনট (বগুড়া): সরকারি অনুমতি ছাড়াই বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে বাঙ্গালি নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তিনটি পয়েন্ট থেকে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন।
গত প্রায় এক মাস ধরে শ্যালো মেশিন চালিত খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী জনবসতি ও আবাদি জমি ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিমগাছি ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে বহমান বাঙ্গালি নদী। এই নদীর নিমগাছি গ্রামের ধলির ঘাট এলাকায় বসানো হয়েছে দুইটি খননযন্ত্র।
ওই যন্ত্রের সাহায্যে পাইপ দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে খনন করে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কামরুল ইসলাম ও সুজন মিয়া নামে স্থানীয় দুই বালু ব্যবসায়ী।
এর তিন কিলোমিটার উজানে ধামাচামা গ্রামের পয়েন্টে তরিকুল ইসলাম নামে এক বালু ব্যবসায়ী একই পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছেন।
এছাড়া নদীর আরো এক কিলোমিটার উজানে সাতবেকী গ্রামে খননযন্ত্র দিয়ে পাইপের সাহায্যে বালু তুলছেন সাকিল মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী।
এসব জায়গা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ওই বালু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, বালু ব্যবসায়ীরা বালু তুলে তা শহর এলাকায় বিক্রি করছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না কেউ।
ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা রিপন বাংলানিউজকে জানান, বাঙ্গালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদের বার-বার তাগিদ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
জানতে চাইলে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান জানান, সরকার অনুমোদিত বালু মহাল ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলনের বিধান নেই। বাঙ্গালি নদীর বেড়েরবাড়ি ঘাট ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসআর
