বাগেরহাট: সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ১৩২তম ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা মেলা ও উৎসব।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর আলোরকোলে তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
তিন দিনের এ উৎসব ও মেলা উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পুণ্যার্থী, পর্যটকসহ কয়েক হাজার দর্শনার্থী মঙ্গলবার সকাল থেকে দুবলার চরের আলোরকোলে পৌঁছাতে শুরু করবেন।
রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ অথবা অগ্রহায়ণের শুরুর পূর্ণিমাতে রাস পূর্ণিমা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
আয়োজক সূত্র জানায়, ২৫ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে পূর্ণিমা আরম্ভ হওয়ার পরপরই শুরু হবে রাস পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা। ওইদিন সন্ধ্যায় পূজা-আরতি এবং রাস পূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সূর্য উদয়ের আগ পর্যন্ত পুণ্যার্থীরা পুণ্যস্নানে অংশ নেবেন।
রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিন জানান, রাস উৎসবের তীর্থযাত্রী, পর্যটক ও দর্শনার্থীরা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকাযোগে যাত্রা শুরু করেছেন।
তিনি জানান, এবার দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারত, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা অংশ নেবেন।
এদিকে, রাস উৎসবকে ঘিরে হরিণসহ বণ্যপ্রাণী শিকার ও বনজ সম্পদ রক্ষায় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন ও বন বিভাগ।
এজন্য বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের একাধিক দল কাজ করছে। ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সুন্দরবন বিভাগে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি।
রাস মেলায় বাদ্য, নৃত্য, গীত ও বিবিধ প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন রকম হস্ত ও কুটির শিল্প সামগ্রীর পসার জমে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-অর্চনার ফাঁকে সন্ধ্যায় ওড়ানো হয় ফানুস। মেলার মূল প্রার্থনা হয় ভোরে প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসআর