ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৩৬ পৌরসভায় নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
২৩৬ পৌরসভায় নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

ঢাকা: সারাদেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ ২৩৬ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।



সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোমবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বৈঠকে বসে নির্বাচনের এ সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা রাতেই নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ছাপিয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরমও ছাপানো শুরু করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে বিজিপ্রেস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক রয়েছে। ফলে, পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে সুযোগ সীমিত থাকবে। তাই দুপুর ১টার পর তফসিল ঘোষণা হবে।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে দলীয় প্রতীকে শুধু মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচনে এবার সবচেয়ে কম সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য ৯ দিন, বাছাইয়ের জন্য ১ দিন, আপিল দায়েরের জন্য ৩ দিন, আপিল নিষ্পত্তির জন্য ৪ দিন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ১ দিন সময় দেওয়া হবে। এছাড়া প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য সময় দেওয়া হবে ১৫ দিন।

সারাদেশে ৩২৩ পৌরসভার মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ২৩৬টির নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি পৌরসভায় ১টি মেয়র, ৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রয়েছে। ফলে মোট ৩০৬৮টি পদে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। তিনটি পদের জন্য তিন রঙের ব্যালট পেপার থাকবে। প্রায় ৭০ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪০টি। বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলটি এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে পারছে না।

এদিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুসারে, মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম তফসিল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ পাবেন না কেউ। স্বতন্ত্র থেকে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনের দলিল দাখিল করতে হবে। এরমধ্যে পাঁচজনের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়নের ভিত্তিতে যাচাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নির্বাচনী প্রচারণা বিধি অনুসারে, মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে-প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বুঝিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫

** জেলা পরিষদ নির্বাচন আর কবে!
** কিছুই করণীয় নেই ইসির!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।