জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের বিবৃতি ও বিদেশি কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত নেতিবাচক সংবাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।
তিনি বলেন, যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারা বিরোধী দলের নন, মানবতাবিরোধী অপরাধী।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আল-জাজিরা টেলিভিশনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আব্বাস ফয়েজ আলবদর-আলশামসের প্রতি চরম সহানুভূতি ব্যক্ত করেছেন। মানবাধিকারের প্রশ্নে তিনি খণ্ডিত তথ্য দিয়েছেন। আমাদের অনুরোধ থাকবে, এসব খণ্ডিত তথ্য দিয়ে আব্বাস ফয়েজ যেন মানবতার কথা না বলেন।
তারানা হালিম আরও বলেন, ২০১৪ সালে যখন পেট্টোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হয়, তখন তো তাদের কোনো বিবৃতি চোখে পড়েনি। দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেয়ে নিরাপরাধীদের পেট্টোল বোমা মেরে পুড়িয়ে কাবাব বানানো অনেক বেশি কষ্টের। আশা করি তারা সেটা বুঝবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সাহসিকতার সঙ্গে এর বিচার করে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তিনি কথা দিলে কথা রাখতে জানেন।
বিদেশি কয়েকটি পত্রিকায় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশের কড়া সমালোচনা করে তারানা হালিম বলেন, আসলে ওই দুই যুদ্ধাপরাধী বিরোধী দলের নন, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধী। সহানুভূতি জানিয়ে তাদের বিরোধী দল বলা হচ্ছে, তাতে এদেশের সরকারের, জনগণের আপত্তি রয়েছে। এ দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বর্তমান সরকারকে রায় দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন ওইসব বিদেশি পত্রিকাকে বিষয়টি অবহিত করেন। যারা ভুলভাবে বিশ্ব দরবারে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিরোধী দল বলে তুলে ধরছেন, তা সত্যের অপলাপ মাত্র। পরাজিত একটি দেশও নানা কথা বলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন তাদের ডেকে সতর্ক করে দেয় – যোগ করেন তারানা হালিম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের মাটিকে ভালোবাসি। দেশের স্বার্থে, জনগণের নিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িকভাবে যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ রাখলে তা জনগণ সহজভাবেই গ্রহণ করবে। এটিই আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ
** পাকিস্তানকে আর আশকারা দেওয়া যায় না
** হজ ভিসায় বিদেশে থেকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে
** সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি
**‘মানুষ পাপ করলে পাসপোর্ট অফিসে যায়!’
** শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ২০-এ নামানোর অঙ্গীকার