জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিল সংসদে পাস করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) বিল, ২০১৫ পাস করা হয়।
সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
বিলটিতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, মো. নুরুল ইসলাম ওমর, মো. আব্দুল মতিন, সেলিম উদ্দিন এবং পীর ফজলুর রহমান জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে ফখরুল ইমামের একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন মন্ত্রী।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্ব সম্মতক্রমে গৃহীত হয়।
বিদেশি সরকার বা শিল্প উদ্যোক্তা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি বা শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং সে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডেভেলপার নিয়োগের বিধান রেখে এই বিলটি পাস করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের আইনের ২ ধারায় সংশোধনী এনে ৯ক অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিলে ‘বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোনো দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগ’-অর্থ, ‘বাংলাদেশ সরকার বা মনোনীত কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ এবং অন্য কোনো দেশের সরকার বা মনোনীত কোন শিল্প উদ্যোগতা, কনসোর্টিয়াম, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানী বা শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অংশিদারিত্ব বা উদ্যোগ’।
ধারা-৫ এ সংশোধনী এনে উপধারা ১ সংযোজন ও শর্তযুক্ত করে বলা হয়েছে, কেবল তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্দেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাভুক্ত কোনো এলাকাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা যাবে।
এছাড়া আইনের ৮ ধারায় সংশোধনী এনে উপধারা ২ সংযুক্ত করে বিলে বলা হয়েছে, উপধারা-১ এবং ধারা ১৯ এর দফা (৩) যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কোন দেশের সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব বা উদ্যোগে বা এক বা একাধিক সরকারি সংস্থা বা কৃর্তপক্ষের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগতা বা অংশিদারিত্বের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডেভেলপার নিয়োগ করতে পারবে।
দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সম্ভাবনাময় সব এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০’ প্রণীত হয়েছে বলে বিলের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএম/এমএ
** সাকা-মুজাহিদ বিরোধী দলের নন, মানবতাবিরোধী অপরাধী
** পাকিস্তানকে আর আশকারা দেওয়া যায় না
** হজ ভিসায় বিদেশে থেকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে
** সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি
**‘মানুষ পাপ করলে পাসপোর্ট অফিসে যায়!’
** শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ২০-এ নামানোর অঙ্গীকার