ঢাকা: ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া মন্ত্রিসভা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে বাক্য বিনিময় হয়েছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার আলোচনার বাইরে ফেসবুক বন্ধ-চালুর পক্ষে-বিপক্ষে চলে দুই প্রতিমন্ত্রীর কথোপকথন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
তারা জানান, নসরুল হামিদ বিপু প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি ফেসবুক বন্ধ করলেন কেন?
জবাবে তারানা হালিম বলেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করে নাশকতার মাধ্যমে যদি একটি প্রাণও ঝরে যায় তার দায়িত্ব আপনি নেবেন?
নসরুল হামিদ বলেন, ‘তার দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে’। উত্তরে তারানা হলিম বলেন, ‘আপনি কি রাষ্ট্রের বাইরের অংশ, আপনিও তো একজন প্রতিমন্ত্রী। এর দায় আপনার ঘাড়েও আসে। ’ এরপর চুপ হয়ে যান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বিপুকে উদ্দেশ্য করে তারানা হালিম আরও বলেন, ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে, তাতে আপনার সমস্যা কী? কিছু দুষ্টু লোক ফেসবুকের অপব্যবহার করে।
সূত্র আরও জানায়, মন্ত্রিসভার দুজন সদস্য তাদের মোবাইলে ফেসবুক চালু করা যাচ্ছে জানালে প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিটিআরসির নজরে আনেন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জবাব দিয়েছে বিটিআরসি।
গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখে।
এরপর ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও ভাইবারসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার।
এতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি পরিলক্ষিত হয়, সোমবার যার বর্হিপ্রকাশ ঘটে খোদ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর মধ্যেও।
গত ২২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর দেশে এবার বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় কেউ প্রোপাগান্ডা চালাতে পারেনি বলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত একজনও নিরাপদ না হচ্ছেন, ততদিন খোলা হবে না ফেসবুক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্ট, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ/
** ফেসবুক বন্ধ থাকায় নাশকতা হয়নি