গোদাগাড়ী, রাজশাহী সীমান্ত থেকে ফিরে: রাজশাহী জেলার পশ্চিমে চাপাঁইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী পদ্মাপাড়ের উপজেলা গোদাগাড়ী। নদীর ওপারে ভারতীয় সীমানা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রবেশ করা হেরোইনের ৮০ শতাংই আসে এ পথে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখানকার হেরোইন চোরাচালানিদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি সীমান্তবর্তী গ্রাম মাদারপুর। এ গ্রামসহ মাদক ঘাঁটিগুলোর প্রায় সব গ্রামই গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় অবস্থিত। অনেকেই মাদারপুর গ্রামের নাম দিয়েছেন, ‘হেরোইন গ্রাম’। আবার গোদাগাড়ী পৌরসভাও অনেকের কাছে ‘হেরোইন রানি’ নামে পরিচিত। উপজেলার কমপক্ষে ১৫০ জন বড় মাপের হেরোইন চোরাচালানির অন্তত ৪০ জনেরই আবাস এই মাদারপুরে।
অথচ এই মাদারপুরেই আছে বিজিবি ক্যাম্প। তাই স্থানীয়দের মতে, আলোর নিচেই যেমন অন্ধকার থাকে, মাদারপুরের অবস্থাও ঠিক তেমনি। এলাকাবাসীর সন্দেহের আঙ্গুল তাই বিজিবি’র দিকেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারপুরে আছে একটি ভিক্ষুক বাহিনী। এ বাহিনীর সবাই মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরের সিন্ডিকেট সদস্য। ভিক্ষার অভিনয় তারা হেরোইন পাচারের কাজে ব্যবহার করেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার সীমান্ত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত পথ দিয়ে নিয়মিত আসা হেরোইন এসে প্রথমে জমা হয় এই মাদারপুরে। উপজেলার চর আছাড়িয়াদহ, মানিকচর, কানাপাড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কোঁদালকাটি, আলাতুলি, ঝাইলাপাড়া, ক্লাব ঘাট এলাকা হেরোইন চোরাচালানের মূল রুট। তবে বড় চালান ঢোকে কোঁদালকাটি, সুলতানগঞ্জ, আছাড়িদহ ও কানাঁপাড়া হয়ে।
ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে এসব পয়েন্ট দিয়ে হেরোইন এনে মাদারপুরসহ গোদাগড়ীর অন্য হেরোইন কারবারিরা তা নিয়ে আসেন নিজ বাড়িতে কিংবা টাকার বিনিময়ে তা জমা করেন অন্যের বাড়িতে। কখনো কখনো তা স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসায় মজুদ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তা ছদ্মবেশী ভিক্ষুক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, গরুর রাখাল, কিশোরী ও গৃহবধূর মাধ্যমে পদ্মানদীর এপারে গোদাগাড়ী পৌরসভার সিঅ্যান্ডবি, গড়ের মাঠ, মাদারপুর, হাটপাড়া, রেলওয়ে বাজার, কুঠিপাড়া, শিবসাগর, বারুইপাড়া, সুলতানগঞ্জ ইত্যাদি এলাকার বাসা-বাড়িতে রেখে রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব চোরকারবারির গডফাদারদের আছে দেশব্যাপী শত শত এজেন্ট। উপজেলার খেয়াঘাট ছাড়াও তারা ব্যবহার করছেন নৌকা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, ভারতীয় মোবাইল সিম। অন্যদিকে ভারতীয় এজেন্টদের রয়েছে বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সিম।
তবে বর্তমানে কৌশল পাল্টেছেন চোরাকারবারিরা। মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকায় তারা গোদাগাড়ী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘রিলে-রেস’ সিস্টেমে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে। এতে বেশি লোকবল এবং বেশি সময় লাগলেও পদ্ধতিটি এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ পদ্ধতিতে কয়েক কিলোমিটার পর পর একজন বহনকারী অপেক্ষা করেন এবং একজন অপরজনের হাতে হেরোইনের চালান পৌঁছে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে তারা প্রচলিত পথ পরিহার করে গ্রাম্য কাঁচা সড়ক, ক্ষেতের আইল এবং দূর্গম বিল ও শান্ত গ্রাম্য পথ ব্যবহার করছেন।
বর্তমানে গোদাগাড়ীতে প্রায় দেড় শতাধিক সদস্যের দু’টি হেরোইন চোরাচালান সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেট দু’টির নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গীর ও জহুরুল। জাহাঙ্গীর বর্তমানে জেলে থাকলেও আজ পর্যন্ত জহুরুলকে আটক করেনি পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, জহুরুলকে সুবিধা দিয়ে জাহাঙ্গীর গ্রুপকে দমনে নেমেছে গোদাগাড়ী থানা প্রশাসন। অন্যদিকে আরেক হেরোইন গডফাদার মোফা কমিশনার কিছু দিন আগে আটক হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে বাইরে আছেন। আবার গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ও জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধেও হেরোইন পাচারের অভিযোগ আছে। জাহাঙ্গীরের বাবা নওশাদ (জামাতি) কমিশনারের মেয়ে কানাডার নাগরিক হওয়ার সুবাদে দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় তিনিও ছেলেদের ব্যবসায় সুযোগ মতো সহায়তা করে কানাডায় চলে যান। তার অপর ছেলে আলমগীরও বড় আকারের হেরোইন ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
মাদারপুরের ব্যবসায়ীরা
গিয়াস উদ্দীন ট্যাঙ্গার ছেলে আশরাফ ট্যাঙ্গা ওরফে মসলা আশরাফ, সেকেন্দার আলীর ছেলে নাজমুল হুদা ওরফে নাজিবুর ও এরফান আলী, জর্দ্দা ইসমাইলের ছেলে দুরুল হোদা, মজিবুর রহমান ওরফে মজি ল্যাংড়া, সাইদুর রহমান ওরফে আঙ্গুর সাইদ, দাউদ আলীর ছেলে আলফাজ উদ্দীন, কালু মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি ও ছবি, মৃত কালুর ছেলে জিয়া ও মেয়ে পারুল বেগম, টুনি মেম্বারের আশ্রিত মতিউর রহমান ওরফে নাটোর মতি, আরশাদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে বেলাল বুশ, ভাদু পণ্ডিতের ছেলে ঠনি মেম্বার, আফসার বিশ্বাসের ছেলে আনারুল ঠাকুর, ভলু ডিলার, আফসার আলীর ছেলে পুলিশ ফিটু, মুনতাজের ছেলে ইসমাইল হোসেন, মৃত একরামের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ, আমজাদ মাইরীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম আশরাফ ও আকবর আলী, মৃত আজীজ দফাদারের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোবাজুল, মৃত মন্তাজ আলী ওরফে খইলা মন্তার ছেলে এমদাদুল হক, ফেকন ও সাদিকুল ইসলাম, আব্দুর রশীদ বাঘুর ছেলে জসীম উদ্দীন, রিয়াজ কান্ট্রির ছেলে তোবজুল কান্ট্রি, মৃত এন্তা লাড়ার ছেলে আব্দুল জব্বার, কাশেম আলীর ছেলে মোস্তফা ওরফে পতড়া মোস্তা, তাজু ছুতরার ছেলে সিয়ানা ডাকু, মৃত শামসুদ্দীনের ছেলে আকবর আলী, মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে মতিউর রহমান মতি, ভুলু মাঝির ছেলে রুবেল, গাইনির ছেলে রহিম, মৃত গিয়াস উদ্দীনের ছেলে তোজাম্মেল হোসেন, সইবুর রহমানের ছেলে বাবলু, তমিজ উদ্দীনের ছেলে আমিনুল ইসলাম, আজিজুল বালির ছেলে জামাল, আজাদের ছেলে শাহীন, নওশাদ জামাতীর ছেলে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর, সিরাজুল ইসলামের ছেলে জহুরুল এবং সোলাইমানের ছেলে নবাব আলী।
অন্য পাড়ার হিরোইন ব্যাপারি
বারুইপাড়ার আব্দুল জাব্বারের ছেলে রাকিবুর ও ড্যানি বাবলু, মহি পাঠানের ৪ ছেলে রফিক মুন্সী, নুরুল ইসলাম কালু, নজরুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার, রেলবাজারের মনি হোটেলের মোয়াজ্জেম মহুরী।
গড়ের মাঠের সোহরাবের ছেলে জেল পলাতক আনারুল, এসরাইলের ছেলে শীশ মোহাম্মদ শিশু, আনোয়ারুল ইসলাম ধলো, হাবিবুর রহমান, সিরাজের ছেলে মজিবুর রহমান, মালা বক্সের ছেলে হযরত আলী, কাটা মঞ্জুরের ছেলে রবি, দাউদ আলীর ছেলে হান্নান মেম্বার, ময়েজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল লতিফ, ল্যাধা সলেমানের ছেলে আনিকুল, আবু বহরার ছেলে এবং জাফর মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান।
মহিশাল বাড়ির নওশাদ আর্মির ছেলে শামীম রেজা (স্কুল নাইটগার্ড), জিল্লুর রহমানের ছেলে ফাইজুর রহমান ফাজু ও সাইদুর রহমান, মোর্তজার ছেলে ডলার, রফিক মৌলভীর ছেলে জলিল, জমশেদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, নজরুল নায়েবের ছেলে মনিরুল ইসলাম, মনসুর টাংনির ছেলে গোলাপ হাত কাটা, সাত্তার ধাগার ছেলে মিশন আলী, ইয়াছিন ডাকাতের ছেলে ফেকন আলি, মকবুল মাস্টারের ছেলে মতিউর রহমান, আবুলের ছেলে জালাল, মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান ও নাইমুল হক, এরফান আলীর ছেলে মোখলেসুর রহমান মুকুল, শমসের আলী গাইটালের ছেলে দবির হোসেন, জিল্লুর রহমানের ছেলে মোখলেস বহিরা, নকিমুদ্দীনের ছেলে বুধু, আতাউর রহমান আতা, মোবারক আলীর ছেলে রহিম এবং সিরাজুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম।
আঁচুয়া গ্রামের ইয়াসিন নায়েবের ছেলে আলমগীর, সিঅ্যান্ডবি আঁচুয়ার শমসের আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম খোকা ও সালাম, মইজ উদ্দীনের ছেলে এনামুল আর্মি, জহর আলীর ছেলে আব্দুর রশীদ, সোহরাব আলীর ছেলে সামায়ন আলী, রফিক মেকারের ছেলে দুরুল হোদা, এসরাফিল হকের ছেলে মুস্তাকীম হক, তাজু চয়রা, আঁচুয়া ভাটা গ্রামের আফসার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক বড়ি ও রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক বড়ি এবং তার ছেলে রবিউল ইসলাম।
চর মানিক চক গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম, নওশাদ আলীর ছেলে ইস্রা, কালু পয়াতির ছেলে জহুরুল হক, শাজাহান আলীর ছেলে লোকমান, মানিক চক গ্রামের পিতা অজ্ঞাত জাহাঙ্গীর আলম।
রেলবাজারের বেনু ডিলারের ছেলে মানিক আলি, সুলতানগঞ্জের এরফান আলীর ছেলে জুয়েল ল্যাংড়া, বুজরুক পাড়ার গফুরের ছেলে হামিদ, ডিমভাঙ্গার করিম মোড়লের ছেলে একরাম আলী, সুক্কন মাঝির ছেলে সিরাজ, রুস্তম মাঝির ছেলে আফসার আলী, ইয়াসিন পাদ্রির ছেলে শরীফ ওরফে কুত্তা শরীফ, ক্লাব মসজিদের পাশে বানু মেম্বারের আশ্রিত ইকরাম, মাওলানার গেট গ্রামের তাহাসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলী, সারাংপুর পুলিশ পাড়ার হযরত আলীর ছেলে মওদুদ কাইটা ও মুজিবুর রহমান কাইটা, জোতগোসাইদাস গ্রামের আনোয়ারুল বিশ্বাসের ছেলে রুমেল বিশ্বাস এবং সারাপংপুর গ্রামের ইসমাইল।
সীমন্তপুরের আকবর আলীর ছেলে কালাম আলী, পিতা অজ্ঞাত নওশাদ আলী ও হাকিম, মন্দিরের পাশের মনসুর আলীর ছেলে ফহারুল ঘাইটাল, রেলগেট কসাই পাড়ার নাইমুল এডিসির ছেলে লতিব ও ফজলুর রহানের ছেলে মালেক, মাটিকাটা গ্রামের মাজেদ ডিসির ছেলে নয়ন ডাক্তার এবং রামনগরের স্বামী পরিত্যক্তা সুলতানা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইয়াবা বলতে যেমন কক্সবাজার বা টেকনাফকে চিহ্নিত করা যায়, হেরোইনের ক্ষেত্রে তেমন রাজশাহীর এই গোদাগাড়ী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ট্রাকচালক সবাই এ ব্যবসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, এখানকার প্রশাসনের প্রায় সবাই হেরোইন ব্যবসায় জড়িত। আর এ ব্যবসায় এখানকার অধিবাসীদের ব্যাপক বাহ্যিক পরিবর্তন এসেছে। যার কোনো স্থাবর সম্পত্তি বা বাহ্যিক ব্যবসা-বাণিজ্য নেই এবং কোনো পেশাতেও জড়িত নেই সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামে তার আছে প্রাসাদসম দালান-বাড়ি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম সিকদার এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সীমান্তবর্তী গ্রামে একমাত্র রাস্তায় কোনো অভিযান পরিচালনা করতে গেলে আগেই খবর পেয়ে যান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রশাসনেও মাদক কারবারিদের লোক থাকতে পারে। একইসঙ্গে আছে সময়মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযানের সময় পাওয়ার জটিলতা। অনেক সময়ই নিয়মিত কাজের কারণে তারা আমাদের সঙ্গে সময় দিতে পারেন না। মাদক ব্যবসায়ীরা এখন অস্ত্র বহন করেন। খালি হাতে তো তাদের মোকাবেলা করা যাবে না।
গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসহাক বাংলানিউজকে বলেন গোদাগাড়ী পৌরসভার পাশেই বর্ডার। এ বর্ডার কিন্তু উন্মুক্ত না। কাঁটাতার দেওয়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে এই ভয়ঙ্কর মাদক ঢুকছে। একটি চালার পৌছে দিলে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। তাই গোদাগাড়ীর মানুষ সে সুযোগ গ্রহণ করছে। সবাই কঠোর না হলে এটা ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন, আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, বিজিবিকে বলেছি। তারা আমাকে ওপেন মিটিংয়ে বলেছেন, তারা এখান থেকে হেরোইন ধরে ঢাকা পাঠান, সেখান থেকে তা আটা হয়ে বের হয়ে আসে। তার মানে সমস্যা রয়েছে অনেক ওপরে। ঠিক হতে হবে সেখান থেকেই। তা না হলে দেশ রসাতলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
আরএম/এএসআর