ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বন বিভাগের অনুমতি নিতেই রাত পার

জেসমিন পাপড়ি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
বন বিভাগের অনুমতি নিতেই রাত পার ছবি: কাশেম হারুণ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে: ভেটখালী থেকে শুরুর মাত্র আধাঘণ্টা পরেই থেমে গেছে ‘চাঁদের আলো’র রাসযাত্রা। স্থানীয় বন কর্মকর্তার দপ্তরে আটকে গেছে বৃহৎ আকৃতির ট্রলারটি।

তবে শুধু একটি নয়, রাসযাত্রার উদ্দেশে রওনা হওয়া আরো প্রায় গোটা ত্রিশেক ট্রলার অবস্থান নিয়েছে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনকে ঘিরে, নানা দিক থেকে আসা পাঁচটি নদীর মোহনায়। রাত সোয়া এগারটার দিকে এখানে পৌঁছালেও বন বিভাগের অনুমতি নিতে রাত পেরিয়ে গেছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তার কারণে রাতে এখান থেকে কোনো ট্রলার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সবগুলো ট্রলারকে একসঙ্গে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে কোস্টগার্ড। তবে তার আগে নিতে হবে বনবিভাগের অনুমতি। ট্রলার প্রতি প্রবেশমূল্য, অবস্থান ফি, ক্যামেরা এবং লোকের সংখ্যা অনুযায়ী রাজস্ব জমা দিয়ে অনুমতি পত্র নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দিনের শুরু থেকেই ঘুমভাঙা চোখে সেই অনুমতি পত্র দেওয়ার কাজ করে চলেছেন কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তারা।

স্টেশন কর্মকর্তা এফ এম জামাল বাংলানিউজকে জানান, সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৩টি লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার আবেদন জমা পড়েছে। নৌকা প্রতি ৩০ থেকে পঞ্চাশ জনের উপরে দর্শনার্থী রয়েছে। প্রত্যেকের আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বন বিভাগ। এসব কাজ সেরে সব ট্রলারকে সিরিয়ালে সাজিয়ে সামনে পিছে পাহারা দিয়ে দুবলার চর পর্যন্ত নিয়ে যাবে কোস্টগার্ড। সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ট্রলার যাত্রীরা নিজেদের সময়কে রাঙিয়ে নিচ্ছেন যে যার মতো করে। অনেকে আবার ট্রলার থেকে লোকালয়ে নেমে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিচ্ছেন।

বন কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করতে বন বিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

এবার সুন্দরবনের ঢাংমারি, চাঁদপাই, বগী, শরণখোলা, সুপতি স্টেশন ও জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ি, দুবলা এবং বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক, কদমতলা, কৈখালী, কাশিয়াবাদ ও নলিয়ান স্টেশন দিয়ে রাস মেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

দর্শনার্থীদের সঙ্গে সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলার শিকারিরা রাস মেলার আড়ালে হরিণ শিকারের ফাঁদ, জাল, বড়শিসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে মেলায় যায়। তবে মেলাকে ঘিরে হরিণ শিকার বন্ধে বন বিভাগ সক্রিয় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ছাড়ার আগে প্রতিটি নৌকায় অনুসন্ধান চালানো হবে বলেও জানা যায়।

কৈখালী বন কর্মকর্তা এফ এম জামাল আরও বলেন, রাস মেলার যাত্রীদের নিরাপত্তায় বনকর্মীদের পাশাপাশি র‌্যাব, কোষ্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। এছাড়া মেলা স্থলে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় একাধিক মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে।

** ‘চাঁদের আলোয়’ রাসযাত্রা শুরু

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
জেপি/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।