কুড়িগ্রাম: পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ছেড়ে দ্বিতীয় দফায় ভারতে গেলেন কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরের বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩০টি পরিবারের আরো ১৫৮ জন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার সীমান্তের অস্থায়ী চেক পয়েন্ট দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।
এ সময় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানানো হয়।
এরআগে তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সকাল ১০টায় ৫টি বাস ও ২৩টি পিকআপভ্যান যোগে বাগভান্ডার অস্থায়ী চেকপয়েন্টে পৌঁছান।
পরে চেকপয়েন্টে দুই দেশের ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে তাদের ট্রাভেল পাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।
এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় দফায় ভারতগামীদের মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ার ২৯টি পরিবারের ১৫৭ জন ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার গাড়োলঝাড়ার এক পরিবারের একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাদের বিদায় জানান ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও ভুরুঙ্গামারীর ইউএনও মামুন ভূঁইয়া।
ভারতের পক্ষে তাদের বরণ করেন কোচবিহারের ১০১ বিএসএফ কমান্ডার আখতার হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্য সচিব অভিজিত মিত্র।
ফুলবাড়ীর ইউএনও নাছির উদ্দিন মাহমুদ জানান, কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরের বিলুপ্ত ছিটমহলের ৩০৫ জন বাসিন্দা প্রথম অবস্থায় ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত দুই দফায় ভারতে গেলেন ২৩০ জন বাসিন্দা। বাকি ৭৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর ৭০ জন না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। ৪ জন এখন পর্যন্ত কাগজপত্র জমা দেননি।
ভারতীয় হাইকমিশনের রাজশাহীর সদস্য সচিব অভিজিত মিত্র জানান, ভারতের যাওয়া বাসিন্দাদের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় বসবাসের ব্যবস্থাসহ সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এসআর