ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি

সালাহ উদ্দিন জসিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শীত পড়তে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকায় এখনও হালকা হলেও ঢাকার আশপাশের এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে শীতের ছোঁয়া ভালোই লাগছে।

এরইমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর ফুটপাতের পোশাক বিক্রির দোকানগুলো। তবে তেমন চাপ দেখা যায়নি ব্র্যান্ডের দোকান বা শপিং মলগুলোতে।
 
রাজধানীর মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, জিপিও-পল্টন এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, নানা ধরনের শীতের কাপড় উঠেছে সেখানে। বিক্রিও হচ্ছে মোটামোটি। ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় এখানে জনসাধারণের আগ্রহও ভালো। প্রয়োজনীয় পোশাক বেশ সহজেই কিনছেন ক্রেতারা।

এসব দোকানে বিভিন্ন দামের ফুলহাতা শার্ট- টি-শার্ট, ট্রাউজার, নারীদের মোটা কাপড়ের টপস আর বিভিন্ন ডিজাইনের কার্ডিগান বা পশমী জামা পাওয়া যাচ্ছে। হাতা কাটা সোয়েটার, লং জ্যাকেট, শাল, মাফলার, উলের মোটা কাপড়, শর্ট ও লং ব্লেজার, জ্যাকেট আর ব্লেজারের মিশ্রণে তৈরি নতুন ধরনের শীতের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে।

একই সঙ্গে আছে কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে শীতে ব্যবহার উপযোগী জুতা, মোজা ও বাহারি ডিজাইনের কম্বল ইত্যাদি।
 
ব্র্যান্ডের দোকান বা শপিং মলে গলাকাটা দামের ভয়ে যেতে চান না মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তের অনেকেই। তাদের পছন্দ ফুটপাতের এই বাজার। এছাড়া অফিসের কাজের ফাঁকে কেনাকাটা, কাজের জন্য ঢাকায় এসে ফেরার সময় কেনাকাটার এমন সব মানুষদেরও হাতের নাগালের এই দোকানগুলোই পছন্দ। এজন্য জমে উঠেছে ফুটপাতের এসব বাজার।

চাঁদপুর থেকে ঢাকায় বিদেশ যাওয়ার টিকেট করতে এসেছেন মিরাজ (৩৬)। যাওয়ার সময় মা, স্ত্রী, সন্তান ও নিজের জন্য করে নিলেন শীতের কেনাকাটা। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামে কনকনে শীত পড়েছে। সেজন্য তিনি শীতের কেনাকাটা করছেন।

ফুটপাতের এই বাজার অনেকটা সহজ ও সুবিধাজনক বলে এখানেই সেরে নিচ্ছেন বাজার, জানান মিরাজ। তিনি বলেন, মার্কেটে গেলে দরদাম নিয়ে ঝামেলা হয়। বেশির ভাগ সময় আমাদের মতো দাম না জানা লোকেরা ঠকে যান। এজন্য ফুটপাত থেকেই কিনছেন। এখানে দেখতে সুবিধা, চোখের সামনে খোলা-মেলাভাবে বিক্রি হয়। আবার দামও কম।

বায়তুল মোকাররমের সামনের সোয়েটার বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, শীত আসায় ভালো বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। দিন যত যাবে বিক্রিও বাড়বে। দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে ৫০০ থেকে তিন হাজার দামের পর্যন্ত সোয়েটার আছে। আমাদের এখানে দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। অনেক বিক্রেতা। সবাই ডেকে ডেকে একদামে বিক্রি করছেন। কাস্টমার ভেদে তারা ৫০-১০০ বেশি রাখেন বলেও জানান তিনি।
 
মোটা গেঞ্জি (টি-শার্ট) বিক্রেতা কালাম বলেন, বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। দাম কমই। কারণ এগুলোর দাম সবাই জানে, ১৫০-২০০ টাকা। শুধুমাত্র কালার পছন্দ করে নিলেই হলো। তবে, ঢাকায় শীত কম পড়ায় তেমন জমেনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রোম বা শপিংমলগুলো। সেখানে স্বাভাবিক কেনা-বেচা চলছে।

ওয়ারীর ব্র্যান্ডশপ আড়ংয়ের বিক্রয় কর্মকর্তা কামাল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, আমাদের এখানে শীতের কাপড়ের কাস্টমার তেমন নেই। এখনও শীতের কাপড় বিক্রি সেভাবে শুরুই হয়নি। যাদের দেখছেন, তারা নিয়মিত ক্রেতা। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তাদের শীতের কাপড়ের চাহিদা বাড়তে পারে বলেও জানান কামাল।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এসইউজে/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।