ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি-শেষ

অনিয়মই সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রগুলোয় নিয়ম!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
অনিয়মই সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রগুলোয় নিয়ম! ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

শেরপুর (বগুড়া) থেকে ফিরে: বগুড়ার শেরপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এসএফএনটিসি) আওতায় রয়েছে ধুনট, গাবতলী ও সারিয়াকান্দি সামাজিক বনায়ন কেন্দ্র। এছাড়া সারিয়াকান্দির ধারাভাস্যার চর ও ধুনটের নাঙলু এলাকায় দু’টি বাগান রয়েছে।



এসব কর্মস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন না। তাদের মধ্যে গাবতলী-সারিয়াকান্দি বনায়ন কেন্দ্রের ফরেস্টার মহীউদ্দিন আহম্মেদ বনজদ্রব্যের স্থানান্তকরণের পাস দেওয়ার জন্য শেরপুরের কর্মস্থলে অবস্থান করেন। ফলে সরকারের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। সেখানে চলছে এক ধরনের লুটপাটের রাজত্ব।

গত ১৬ নভেম্বর সরেজমিনে শেরপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এসএফএনটিসি) গিয়ে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির এসব অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  শেরপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১ জন ফরেস্ট রেঞ্জার, ২ জন ফরেস্ট গার্ড ও ২ জন ফরেস্ট মালি, শেরপুর-ধুনট উপজেলায় ১ জন ফরেস্টার ও ১ জন মালি, গাবতলী-সারিয়াকান্দি সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রে ১ জন ফরেস্টার, ১ জন করে মোট ২ জন মালি, ধারাভাস্যার চরের বাগানে ২ জন মালি এবং ধুনটের নাঙলু বাগানে ১ জন পাহারাদার নিয়োজিত রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেরপুর বাদে অন্যান্য সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলে নিয়মিত থাকেন না। তবে গাছের চারা বিক্রির ক্ষেত্রে এসব সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রে একই ধরনের অনিয়ম করা হয়। তারা কোনো নিয়ম-কানুনই মানেন না। ইচ্ছেমতো কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করেন তারা।  

অনিয়মই এসব সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গাবতলী-সারিয়াকান্দি সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রের ফরেস্টার মহীউদ্দিনের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।     

তবে শেরপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ফরেস্ট রেঞ্জার আয়নাল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, সবকিছু যথাযথ নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। পেশাগত কারণে ফরেস্টার মহীউদ্দিন প্রায়ই শেরপুরে আসেন। কিন্তু এখানে তিনি  অবস্থান করেন না বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এমবিএইচ/এএসআর

** ৩০ টাকা বিক্রি, ৫ টাকা সরকারি কোষাগারে!
** হাতুড়ির সিলেই অবৈধ কাঠ বৈধ!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।